ভোট প্রচারে বেরিয়েই বিজেপির ‘জয় শ্রীরাম’-এর পাল্টা হিসেবে ‘জয় হিন্দ-জয় বাংলা’ স্লোগান তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, “জয় শ্রীরাম বাংলার সংস্কৃতি নয়। আমরা বলব, ‘জয় হিন্দ-জয় বাংলা’।” কিন্তু ২৩ মে ভোটের ফলপ্রকাশের পর দেখা গেছে, আগ্রাসী গেরুয়া শিবির এখন ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তুলে রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করছে। এমনকী দিন কয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে দশ লক্ষ পোস্টকার্ডে ‘জয় শ্রীরাম’ লিখে পাঠানোর নিদান দিয়েছেন ব্যারাকপুরের নব্য নির্বাচিত সাংসদ অর্জুন সিং৷ এর পাল্টা দিতে এবার বিজেপির কায়দাতেই তাঁদের ঘায়েল নেমেছে তৃণমূল। তাই গেরুয়া শিবিরের ‘জয় শ্রীরামের’ পাল্টা ‘জয় বাংলা’ কর্মসূচী নিয়েছে শাসকদল।
অনেক ভেবেচিন্তে দলনেত্রী মমতা ‘জয় শ্রীরাম’-এর পাল্টা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান তৈরি করেছেন। ঠিক হয়েছে, এবার থেকে ‘জয় হিন্দ-জয় বাংলা’ বলবে তৃণমূল কর্মীরা। শুধু তাই নয়, অর্জুন সিং, দিলীপ ঘোষের মতো তাবড় নেতাদের ব্যক্তিগত নম্বর এর আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই নম্বরে ‘জয় হিন্দ-জয় বাংলা’ লিখে পাঠানোর। এবার সেইমতোই আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র নম্বরে পাঠানো হল ‘জয় বাংলা’। যার ফলে যারপরনাই বিরক্ত তিনি। সোমবার রাতেই সেই ছবি প্রকাশ করেছেন বাবুল। যা থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়, বিজেপির বিরুদ্ধে মমতার এই দাওয়াই কাজে এসেছে।
গতকাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল ফেসবুকে তাঁর ব্যক্তিগত একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায়, একটি নম্বর থেকে তাঁকে ‘জয় বাংলা, জয় হিন্দ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’ পাঠানো হয়েছে। এর পাল্টা ‘জয় শ্রীরাম’ বললেও নিজের বিরক্তি প্রকাশ করে ফেলেন আসানসোলের সাংসদ। উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বিজেপি নেতাদের ফোন নম্বর। দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যক্তিগতভাবে ওই নম্বরগুলিতে ‘জয় বাংলা’ পাঠানোর। আর দলের নির্দেশে কর্মীরা যে সেই কাজ করছেন, ফের তার প্রমাণ মিলল সোমবার রাতে। এবং তাতে যে অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির, তাও প্রকাশ্যে চলে এসেছে।