ভোট পরবর্তী পর্বে ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। ২০১৪ এর থেকে তুলনামূলক কিছুটা আসন সংখ্যা বাড়িয়েছে বিজেপি। আর তাতেই যেন লাগাম ছাড়া হয়ে উঠছে বাংলার গেরুয়া শিবির। কোথাও বোমাবাজি, কোথাও ভাঙচুর আবার কোথাও অন্যান্য দলের কার্যালয়ে হামলা। এইভাবেই তান্ডব চলছে রাজ্য জুড়ে।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল থেকেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে দফায় দফায় উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির বীরবন্দর গ্রাম পঞ্চায়েতের কন্ঠীবাড়ী গ্রাম৷ ঘটনার সূত্রপাত বেশ ভোরের দিকে৷ এদিন তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সদস্য বিশ্বজিৎ বেরার বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করা হয়৷ অভিযোগ, এই কুকর্মে নেতৃত্ব দেন বিজেপি নেতা সনৎ মাইতি৷ এই খবর চাউর হয়ে যায় নিমেষেই। স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীরা ঘটনার প্রতিবাদ করতে শুরু করেন৷ বিজেপি কর্মীদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
আরও অভিযোগ ওঠে, কন্ঠীবাড়িতে থাকা বিজেপি কর্মীরা এলাকায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালাতে শুরু করে। কার্যালয়ে থাকা তৃণমূল কর্মীদের মারধরও করা হয়। খেজুরি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়৷ বিজেপি কর্মীরা পুলিশের গাড়ির উপর চড়াও হয়। দুটি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়৷ একটি গাড়ি রাস্তার পাশে থাকা নয়ানজুলিতে ফেলেও দেয় হামলাকারীরা৷ খেজুরির বিধায়ক রঞ্জিত মণ্ডল বলেন, ‘সিপিএম বিজেপির ব্যানার হাতে খেজুরিতে সন্ত্রাস তৈরি করে মাটি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছে৷’