রবিবার থেকে মঙ্গলবার, এই তিন দিনে তিন বার বদল করা হল পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের একটা বড় অংশ। ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে গঠন করা হল তিনটি নতুন পুলিশ জেলা। বনগাঁ, কৃষ্ণনগর ও রানাঘাটে তৈরি হল এই পুলিশ জেলা। এবার নতুন তিনটি পুলিশ জেলা তৈরি করে প্রশাসনে গতি আনার চেষ্টা করেছে নবান্ন। বনগাঁর পুলিশ সুপার হলেন তরুণ হালদার। কৃষ্ণনগরের এসপি জাফর আজমল কিদওয়াই। রানাঘাটের পুলিশ সুপার হলেন অনন্তনাগ।
আইপিএস মহলের দাবি, ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের পরিবর্তিত রাজনৈতিক সমীকরণের কথা মাথায় রেখেই ফিরিয়ে আনা হল আজয় ঠাকুরকে। এ ছাড়াও বদল করা হয়েছে ছয় জেলার এসপি-কে। বিরোধীরা হিংসা ছড়াচ্ছে। সেই হিংসা রোধ করতে কিছু বদল আনা হয়েছে কলকাতা পুলিশেও। কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) শুভঙ্কর সিন্হা সরকারের পদোন্নতি হয়েছে। তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যুগ্ম কমিশনার (স্পেশ্যাল টাস্কফোর্স)-এর। ডিসি (এসটিএফ) মুরলীধর শর্মাও পদোন্নতি পেয়েছেন। তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যুগ্ম কমিশনার (ট্র্যাফিক)-এর। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হলেন মুরলি ধর। এসএস সিআইডি হচ্ছেন অর্ণব ঘোষ। এসএস আইবি হচ্ছেন অমিত জাভালগি। হাওড়ায় আইনজীবীদের উপর লাঠিচার্জে অভিযুক্ত তিন আইপিএস ভাবনা গুপ্তা, সুখেন্দু হীরা এবং ভি আর এস অনন্তনাগ-কে বদলি করা হল।
এর আগে তিনদিনে তিনবার কমিশনার পরিবর্তন হয়েছে বিধাননগরে। বিধাননগরের নয়া পুলিশ কমিশনার হলেন ভরতলাল মিনা। এছাড়াও বেশ কিছু প্রশাসনিক রদবদল করা হয়েছে। হাওড়ার পুলিশ কমিশনার হচ্ছেন তন্ময় রায়চৌধুরী। আইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ হচ্ছেন বিশাল গর্গ। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার হচ্ছেন গৌরব শর্মা। মালদহের নতুন পুলিশ সুপার হচ্ছেন অলোক রাজোরিয়া। ডিআইজি জলপাইগুড়ি রেঞ্জ হচ্ছেন কল্যাণ মুখোপাধ্যায়। আইজিপি কোস্টাল সিক্যুরিটি হচ্ছেন রাজেশ কুমার।