ইস্তাম্বুল! ইতিহাসের আর সংস্কৃতির এক অন্যতম পীঠস্থান, যেখানে দুই মহাদেশ এশিয়া আর ইউরোপের চোখাচুখি হয় বসফরাস প্রণালীর দুইপার থেকে। ইতিহাসের পাতা ঘাঁটলে দেখা যায় যে খ্রিস্টাব্দের শুরু থেকেই ইস্তাম্বুল বিশ্বরাজনীতিতে গুরুত্ত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করতে শুরু করেছিল। খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতকের শেষের দিকে রোমান সাম্রাজ্য বিশালাকায় হয়ে ওঠায় রাজধানী রোম থেকে সমস্ত প্রান্তের, বিশেষ করে সাম্রাজ্যের পূর্বভাগের, রক্ষনাবেক্ষন দুরূহ হয়ে উঠছিলো। সম্রাট ডায়োক্লেশিয়ান সাম্রাজ্যকে পূর্ব এবং পশ্চিম দুভাগে ভাগ করেন – পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যের নতুন নাম হয় বাইজানটাইন যার রাজধানী হয় তুরস্কের বাইজানটিয়াম। পরবর্তী রোমান সম্রাট কনস্টান্টাইন বাইজানটিয়ামের পাশে এক নতুন রাজধানীর স্থাপন করেন – নিজের নামকে অমর করে রাখতে রাজধানীর নাম দেন কনস্টানটিনোপোল। পরবর্তী হাজার বছরে রোমান সাম্রাজ্য আকার, শক্তি আর খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছে যায়। স্থানীয় স্থাপত্য, চিত্রকলা, সাহিত্য, সংস্কৃতি বাইজানটাইন বিশেষণে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পরে।
বহুদিনের ইচ্ছা ছিল শহরটাকে চোখে এবং চেখে দেখার। গরমকালটা ওখানে ঘোরার আদর্শ সময়, কিন্তু ঘটনাচক্রে গতবছরের শেষের ছুটিতেই সুযোগ হলো। মধ্যপ্রাচ্যের ওপরের আকাশ দিয়ে বড়দিনের দুদিন আগে দুপুর দুপুর সপরিবারে নামলাম ইস্তাম্বুলের কামাল আতাতুর্ক বিমানবন্দরে। ঠান্ডা ভালোই তবে তেমন হাড়কাঁপানো নয়। হাম্মামহানে নামক হোটেলে চারদিন থাকার ব্যবস্থা করা ছিল।
শহরের বিয়োগলু জেলায় এক শান্ত পাড়ায় ছোট্ট গলির ওপর বুটিক হোটেল। পাঁচতলার মাথায় ছবির মতো সাজানো পাশাপাশি দুটো ঘর দিলেন আমাদের। হাম্মামহানে কথাটার আক্ষরিক অর্থ হলো স্নানাগারের মালিকের বাড়ি। যুবতী পরিচারিকা জানালেন হোটেলের পাশেই এক হামাম বা জনসাধারণের স্নানাগার আছে যেটি প্রায় দুই শতাব্দী পুরোনো। তুর্কি স্নানের গল্প শুনেছি অনেক – গৃহিনী দেখলাম মূল্যতালিকাটি তুলে সযত্নে পার্সে রেখে দিলেন
পঞ্চদশ শতকে রোমান সাম্রাজ্যের পতনের মাধ্যমে সুলতান মহম্মদ বিন ফতেহ উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। কনস্টান্টিনোপলের নাম বদলে রাখা হয় ইস্তাম্বুল, উসমানীয় সম্রাটদের রাজধানী। শুধু নাম নয়, যাবতীয় বাইজানটাইন নিদর্শন ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকে ইসলামীয় ঘরানায়। পরবর্তী কয়েক শতক ধরে উসমানীয় সম্রাটদের আধিপত্য ছড়িয়ে পরে এশিয়া, ইউরোপ আর আফ্রিকা মহাদেশে – ইস্তাম্বুল প্রায় পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গণ্য হতে থাকে।
দেশের পর দেশ জয় করে পরাধীন দেশগুলির শ্রেষ্ঠ সামগ্রী লুন্ঠন করে তারা সাজিয়ে তুলেছিলেন ইস্তাম্বুলকে। প্রাচুর্য আর বৈভবের শিখরে ছিল ইস্তাম্বুল যার নিদর্শন আজো ছড়িয়ে আছে শহরের নানান প্রান্তে। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের মাধ্যমে উসমানীয় সাম্রাজ্যের পতন ঘটে। মুস্তাফা কামাল আতাতুর্কের নেতৃত্বাধীনে তুর্কি গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হয় এবং তুরস্ক ঘোষিত হয় একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে (যদিও শতকরা আশি শতাংশের বেশি তুরস্কবাসী ইসলামধর্মী)।
হাম্মামহানে থেকে শদুয়েক মিটার হাঁটলেই ইস্তাম্বুলের বিখ্যাত ইস্তিকলাল কাড্ডেসি বা স্বাধীনতা সরণি – যার দুধারে মাইলখানেক ধরে সারি সারি আলো ঝলমলে দোকান। এর তুলনা হয় প্যারিসের সনজে লীজের (Champs-Élysées) সাথে। কনকনে শীতের রাতে এগারোটার সময় ভিড়ে ঠাসা এই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে বুঝলাম তুলনাটা অন্যায্য নয়। নামি দামি ব্র্যান্ডের নিয়ন লাইটের আলোয় ঝলমল – খানিক পরপর বাইলেন ঢুকে গেছে যেগুলো তুর্কি রেস্তোরাঁ, টার্কিশ ডিলাইট মিষ্টির আর ঘরে বানানো চকলেটের দোকান, কিছু নাইট ক্লাব আর প্রচুর এন্টিক জিনিসের দোকানে ভর্তি। ইস্তিকলালের একপ্রান্তে রয়েছে বহু আন্দোলন আর জমায়েতের সাক্ষী টাক্সিম স্কোয়ার। স্কোয়ারের একদম মাঝখানে আছে তুর্কি গণতন্ত্রের সৃষ্টির প্রাক্কালে স্থাপিত রিপাবলিক মনুমেন্ট। চুতর্দিকে প্রচুর ফুলের দোকান। এক কামরার মন্থরগতির ট্রাম চলে পর্যটকদের জন্য। কাছাকাছি বড়োসড়ো রেস্তোরাগুলি বিদেশী পর্যটকে ভর্তি। তার মধ্যে এক কোনায় দেখলাম একটা দশ ফুট বই দশ ফুটের দোকানে প্রচুর স্থানীয় লোকের ভিড়। নাম দুড়ুমজাদে। জানতাম দুড়ুম এই দেশের বিখ্যাত খাবার – অঢেল পরিমানে নানান মাংসের কাবাব দিয়ে রুটির রোল আর সঙ্গে কিছু ডিপস আর স্যালাড। একটা ছোট টেবিলে সপরিবারে বসে রয়েসয়ে দুড়ুম খেলাম – এরকম নরম আর সুস্বাদু মাংস শেষ কবে খেয়েছি মনে পড়লো না।
পরেরদিন সকাল সকাল তৈরী হয়ে বেরিয়ে পড়লাম শহরের কেন্দ্রস্থল সুলতানাহমেটের উদ্দেশ্যে। পকেটে “ইস্তাম্বুলকার্ট” কার্ড – বাস, ট্রাম আর মেট্রোর কমন টিকিট। দ্রুতগামী ট্রামে বিয়োগলু থেকে খান পাঁচেক স্টপেজের পরে সুলতানাহমেটে নামলেই সামনে প্রখ্যাত ব্লু মস্ক। আসল নাম সুলতানাহমেট মসজিদ – চার শতাব্দী আগে নীল মোজাইকের টালি দিয়ে বানানো হয়েছিল, যদিও এখন নীল রং খুঁজে পেতে বেশ কষ্ট করতে হয়।
মসজিদের পাশেই হাজিয়া সোফিয়া – নয়নাভিরাম এক স্থাপত্য যা ধর্মের নামে বহু শতাব্দী ধরে হাতবদল হতে থেকেছে। এই টানাপোড়েনের সমাপ্তি ঘটিয়ে ১৯২২ সালে তুর্কি সরকার এটিকে জাতীয় সংগ্রহালয় হিসেবে ঘোষণা করে ধর্মের নাম ভাঙ্গাভাঙ্গি বন্ধ করেন। সেখান থেকে কয়েকশো পা হাঁটলেই সামনে দেখা যায় ঐতিহাসিক তোপকাপি প্রাসাদ – উসমানীয় সম্রাটদের বিলাসবহুল নিবাস। এনারা পৃথিবীর নানান প্রান্ত থেকে লুট করে নিয়ে এসে নিজেদের প্রাসাদ সাজিয়েছিলেন – পাকশাল, স্নানাগার সব ঘরের সমস্ত জিনিসেরই ইতিহাস লেখা রয়েছে। ইসলাম ধর্মের কিছু দুষ্প্রাপ্য পুরা নিদর্শনও রাখা রয়েছে এই প্রাসাদে। দেশ বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য সুলতানাহমেট চত্বরে তুর্কি রেস্তোরাঁর ছড়াছড়ি।
গবেষণা করে আগে থেকেই টার্গেট করা ছিল ঐতিহ্যবাহী “সেলিম উস্তা”। উস্তা-দের মারের জন্য শেষরাত অবধি অপেক্ষা না করে সন্ধ্যাবেলাতেই মেরে দিলাম ওনাদের বিখ্যাত গ্রিল্ড মিটবল, টাটকা স্যাঁকা বানরুটি আর একবাটি তুর্কি স্যালাড।
পরেরদিন শুরুতেই হানা দেওয়া হলো ব্যাসিলিকা সিস্টার্ণে – প্রায় দেড় হাজার বছর পুরোনো ভূগর্ভস্থ এক জলাধার। বেশ একটা ভুতুড়ে গা ছমছমে ব্যাপার। জলাধারের শেষে রয়েছে বিখ্যাত দুই মাথা-ওয়ালা মেডুসার মূর্তি – এক মাথা লম্বা আর এক মাথা শোয়ানো। খুবই অদ্ভুত ব্যাপার! বেরিয়ে ট্রাম ধরে পরের গন্তব্য গালাটা ব্রিজ – কারাকয় স্টপেজের একদম গায়ে লাগানো বসফরাসের ওপর বানানো দোতলা সেতু।
ওপরতলা থেকে দুধারে সারি সারি লোক ছিপ ফেলে সারাদিন মাছ ধরছে আর নিচেরতলায় অসংখ্য ফাইন ডাইনিং রেস্তোরাঁ। ওপরের ধরা মাছ নিচে এসে ঝালে-ঝোলে-ভেজে অতিথিদের পাতে পড়ছে! গালাটা ব্রিজ থেকে আধ মাইল মত চড়াই উঠলে চলে আসে গালাটা টাওয়ার। মধ্যযুগের এই মিনারের ওপরতলা থেকে ইস্তাম্বুল শহরের তথা সংলগ্ন বসফরাস প্রণালীর এক অভিভূতকারী দর্শন পাওয়া যায়। সব রাস্তায় দু পা পরপর ঠেলায় করে চেস্টনাট, স্থানীয় ভাষায় কেস্তানে, কয়লার আগুনে সেঁকে বিক্রি হচ্ছে। দশ টার্কিশ লিরায় একশো গ্রাম।ঠান্ডার মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে কেস্তানে খাবার যেন নেশা হয়ে গেছিলো!
ইস্তাম্বুলের পর্যটনের এক বড়ো আকর্ষণ হলো বসফরাস প্রণালীর ওপর ক্রুজ। কয়েকঘন্টার এই ক্রুজগুলিতে মাঝারি আকারের জাহাজগুলি নিয়ে যায় শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। মজার ব্যাপার হলো কিছু বন্দর পড়ছে এশিয়া মহাদেশে আর কিছু ইউরোপে।
বসফরাসের নীল স্বচ্ছ জল আর নোনা বাতাস এক অদ্ভুত আমেজ তৈরী করে। আর সেই আমেজটা পরিপূর্ণ করে আশেপাশের নানান সি-ফুডের দোকান। এক নাম-না-জানা দোকানের কাঁচা সার্ডিন মাছ (সামুদ্রিক মৌরলা ভাবা যেতে পারে) দিয়ে জলপাই তথা অলিভের সমাহারের রেশ এখনো মুখে লেগে আছে। আর একটা সুস্বাদু ফাস্টফুড হলো একথালা মাসেল্স বা ঝিনুক – আট দোস্ত ঝিনুকের ওপরের ঢাকনা খুলে সামান্য কিছু মশলা মিশিয়ে এক কোয়া লেবু চিপে তৈরী সহজ মুখরোচক খাবার।
তুর্কিদের দুটি কার্যকলাপ বিপরীত কারণে প্রসিদ্ধ – নাচ আর চান। প্রথমটি যতটাই খর্বতসাধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়, দ্বিতীয়টি তারচেয়েও বেশি বিলাসিতার প্রতীক হিসেবে। তাই শেষ সন্ধ্যায় হোটেলের সংলগ্ন হামামে হানা দিলাম। কিন্তু শুন্যের কাছাকাছি তাপমাত্রা আর তার সঙ্গে হাড় কনকনে ঠান্ডা হাওয়া! স্নানাগারের দরজায় দাঁড়িয়ে থ্রি ইডিয়টস ছবির আমির খানের ডায়লগ মনে পরে গেলো – “…ট্যাক্সি গেট পার থি, জারা সি হিম্মত কার লেতা তো …”। জয় মা বলে ঢুকে পড়লাম। স্নানাগার কোথায় – এতো আরব্য রজনী থেকে তুলে আনা শ্বেতপাথরের এক প্রাসাদ ! এক যত্নশীল বয়স্কা মহিলা পরিচয় দিলেন “অবগাহন শিল্পী” হিসেবে। তাপমাত্রা ভিষনভাবে নিয়ন্ত্রিত – ঘাম হবার উপক্রম।
জবাফুলের সুগন্ধি এক কাপ গরম চা (হাইবিস্কাস টি) খেয়ে বেশ একটা “স্নানটা করে নিলেই হয়” এরকম একটা ভাব জাগলো। শিল্পী-মাতা নিয়ে গেলেন বিরাটকায় মূল স্নানাগারে। প্রায় ফুটবল মাঠের বক্সের সমান মাপের ঘর; তিনতলা সমান উঁচু ছাদ থেকে বিরাট এক ঝাড়বাতি ঝুলছে; ঘরের চারদিকে পাথরের বেঞ্চের বেষ্টনী যার মাঝে মাঝে গ্রানাইটের বেসিন; প্রত্যেক বেসিনের পাশে একটা করে তামার হাতলবিহীন বাটি আর ঘরের মাঝখানে অর্ধেক জায়গা জুড়ে এক বিরাট পাথরের বেদি। বেসিনের পাশে বসে প্রথমে নারকোল ছোবার তুর্কি সনস্করণ দিয়ে একপ্রস্থ ঘষে মেজে স্নান আর তারপর বেদিতে আর একপ্রস্থ সাবানের ফ্যানা দিয়ে। পাশাপাশি বেদি এবং বেঞ্চে আরও বেশ কিছু মহিলার এবং পুরুষের ধোলাই চলছে – জন স্নানাগার বলে কথা! মুছিয়ে টুছিয়ে নিয়ে ঘরে শোকানো ড্ৰাই ফ্রুটস আর এক কাপ জবা-চা খেয়ে জীবনের সবথেকে ব্যয় এবং বিলাসবহুল স্নানের পর্ব শেষ করলাম।
ইস্তাম্বুল শহরের গ্র্যান্ড বাজার আর স্পাইস মার্কেট পর্যটকদের জন্য বড়ো আকর্ষণ। এক ছাদের নিচে প্রায় পাঁচহাজার দোকানের সমাবেশ গ্র্যান্ড বাজারে। ঢোকার থেকেই প্রত্যেক পদক্ষেপে নিউ মার্কেটের কথা মনে করিয়ে দেয়। হেন জিনিস নেই যা পাওয়া যায় না – তবে তুর্কি ঘরানায় তৈরী ঘর সাজানোর জিনিস আর জামা কাপড়ের দোকানের ছড়াছড়ি চারদিকে। গল্পবাজ দোকানদাররা আপ্যায়নের ত্রুটি রাখেন না।
ভারতীয় দেখলেই শুরু হয়ে যায় বলিউডের গল্প। এক দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে শুনছি দোকানদার গৃহিনীকে বলছেন কতবার তারা কাল হো না হো ছবিটি দেখেছেন আর কেঁদে ভাসিয়েছেন। গৃহিনী এক বড়োসড়ো বাক্সের সাথে দোকান থেকে বেরোতেই মোবাইলে মেসেজ এলো সাড়ে চারশো টার্কিশ লিরার। কান্নার গল্প বলা সফল হয়েছে দোকানির!
চারটে দিন খুব তাড়াতাড়ি যেন শেষ হয়ে গেলো। ফেরার দিন সকালে একা একা রাস্তার মোড়ে শেষবারের মতো তুর্কি চা খেতে গেলাম। চা নিয়ে বাইরের টেবিলে বসতে যাবো – পাশের টেবিলের পলিতকেশ এক বৃদ্ধ হাতের ইশারায় ডাকলেন। বসতেই সামনে রাখা সীসা তথা হুক্কাটা এগিয়ে দিলেন। গল্পে গল্পে বললেন ইস্তাম্বুলের গৌরবময় অতীত আজ শুধুই অতীত – দেশটা আজ রাজনৈতিক আর অর্থনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত। বিদায় নেবার সময় বললেন কিন্তু একদিন আবার ইস্তাম্বুল পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু হবে, সেদিন ফিরে এসো। আলভিদা!
শৌর্য রায়
জন্ম ১৯৭৭-এ – স্নাতকোত্তর লাভ পর্যন্ত পড়াশুনা কলকাতার হিন্দু স্কুলে এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তারপর ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে গত প্রায় কুড়ি বছর ধরে শৌর্য রায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এ.আই.) এবং তার প্রয়োগ নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। এই বিষয়ে তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স থেকে ডকটরেট ডিগ্রি উপার্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি আমেরিকান এক্সপ্রেস কোম্পানির একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে এ.আই. ল্যাবের কর্ণধার হিসেবে নিযুক্ত আছেন।
শৌর্য তার স্ত্রী সোনালী এবং পুত্র কন্যার সঙ্গে ব্যাঙ্গালোরে থাকেন। অবসর সময়ে তিনি বার-বি-কিউ রান্না, স্মোকি হইস্কির চর্চা আর বাংলা ব্লগ “ভীমরতি” (https://bhimroty.wordpress.com) নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন।