লোকসভা ভোটের আগে থেকেই সন্ত্রাস জারি রেখেছিল গেরুয়া শিবির৷ ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পরেও সেই ধারা অব্যাহত রাখল বিজেপি৷ বরং আরোও বাড়ল গেরুয়া গুন্ডামি৷ শনিবার বিকেলে, কোচবিহারে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার হলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন।
মন্ত্রীর বয়ান অনুযায়ী, চার-পাঁচশো বিজেপি কর্মী-সমর্থক লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল, বল্লম নিয়ে চড়াও হয়। পার্টি অফিস লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। অশ্রাব্য গালিগালাজ। মন্ত্রীর নির্দেশে কার্যালয়ের জানালা-দরজা বন্ধ করে, তৃণমূল কর্মীরা ভিতরে বসে থাকেন। পরে, পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
বনমন্ত্রী ফোনে জানিয়েছেন, লোকসভায় তৃণমূলের ফল নিয়ে পর্যালোচনা চলছিল। শুক্রবার থেকেই তিনি কোচবিহার জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে, দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছেন। শনিবার বিকেলে তিনি গিয়েছিলেন বড়শোলমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে। সেখানে দলীয় কর্মীদের নিয়ে পার্টি কার্যালয়ে বৈঠক করার সময়, অকস্মাত্ হামলা হয়।
বড়শোলমারি গ্রামের তৃণমূল কর্মীদের দাবি, তাঁদের কার্যালয় লক্ষ্য করে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা ব্যাপক বোমাবাজিও করে। উগ্র বিজেপি সমর্থকদের হাত থেকে নিস্তার পায়নি পুলিশও। ইটের আঘাতে কয়েক জন পুলিশকর্মীও জখম হয়েছেন।
বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, ওরা ‘গণতন্ত্র’, ‘গণতন্ত্র’ বলে চিত্কার করে, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করিয়েছে। কিন্তু, এখন ওদের আসল চরিত্রটা বেরিয়ে আসছে।
সূত্রের খবর, কয়েক’শো সশস্ত্র বিজেপি কর্মী-সমর্থক তৃণমূলের পার্টিঅফিস ঘেরাও করে, বনমন্ত্রীর উপর চড়াও হন। পুলিশ বনমন্ত্রীকে উদ্ধার করতে গেলে, তাদেরও উপরও হামলা হয়। শুরু হয় মুহুর্মুহু ইটবৃষ্টি। পুলিশ কোনওক্রমে বনমন্ত্রীকে দলীয় কার্যালয় থেকে উদ্ধার করে, সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যান। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে৷