সংসদীয় কেন্দ্রের নাম ডায়মন্ড হারবার। এলাকায় গত ৫ বছরের সাংসদ ৩২ বছরের এক তরতাজা যুবক, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিটিশরা পর্তুগিজ জলদস্যুদের হারিয়ে হাজিপুরে দূর্গ গড়ে নাম দেয় হীরের বন্দর। ইংরেজিতে ডায়মন্ড হারবার। ভারতের অগ্রগতির আরেক ইতিহাস, ১৮৫১ সালে প্রথম টেলিগ্রাফ স্টেশন এই শহর থেকে চালু হওয়ার কৃতিত্ব বুকে নিয়ে প্রমাণ করছে, বারবার দেশকে অগ্রগতির পথে নিয়ে এসেছে এই হীরের বন্দর শহর।
রাজ্যের নির্বাচনী মানচিত্রে আজও নজরকাড়া এই কেন্দ্র। এবার এখানে দু’দফায় প্রচারে এসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। দেশবাসীর নজরেও এই কেন্দ্রের বাড়তি গুরুত্বের কারণ একটাই। এই কেন্দ্রের প্রার্থী বাংলার অগ্নিকন্যার ভাইপো অভিষেক। এই যুব-সাংসদের উদ্যোগে এখানে পাড়ায় পাড়ায় মাইলের পর মাইল, ম্যাস্টিফ অ্যাসফল্ট এবং ঢালাই রাস্তা৷ গ্রামীণ সড়ক যোজনা, পূর্ণ ও সেচ দফতর ছাড়াও জেলা পরিষদ এবং সাংসদ উন্নয়ন তহবিলে মাত্র ৫ বছরে তৈরি রাস্তার সংখ্যায় দেশের সবাইকে হারিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। সাংসদ হিসেবে তিনি পেয়েছেন মাত্র ২৫ কোটি, কিন্তু উন্নয়নের কাজ হয়েছে প্রায় ২৫০০ কোটি টাকার। দাবি করলেন স্বয়ং বিদায়ী সাংসদ তথা প্রার্থী।
প্রসঙ্গত, স্বাধিনোত্তর কালের বামঘাঁটি ডায়মন্ড হারবার যে এখন উন্নয়নের জেরেই তৃণমূলের দুর্ভেদ্য দূর্গ হয়েছে তার একের পর এক নির্বাচনেই প্রমাণিত। এমনকী গত পঞ্চায়েত ভোটে এলাকার কেউই উন্নয়ন স্রোতের বিরুদ্ধে গিয়ে খড়কুটোর মতো ভেসে যাওয়ার ভয়ে বাম ও বিজেপি প্রার্থী হতে রাজি হননি। ঠিক তেমনই এবারের লোকসভা ভোটেও বর্তমান সাংসদ অভিষেকের বিরুদ্ধে জেলার কাউকে প্রার্থী হতে রাজি করাতে পারেনি রাম-বামের কেউই। কারণ এখানের প্রতিটি মানুষই চান অভিষেককে জিতিয়ে এলাকার উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে এবং বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে মমতার হাত আরও শক্ত করতে।