বুধবার সকালেই অমিত শাহ সাংবাদিক বৈঠক করে নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ারি দেন। কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। নির্ধারিত সময়ের এক দিন আগেই শেষ দফার ভোট প্রচার বন্ধ করায় রাতে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিতের সেই বৈঠকের উল্লেখ করে বলেন, ‘অমিত শাহের হুঁশিয়ারিতেই নজিরবিহীন ভাবে রাজ্যে ৩২৪ ধরা প্রয়োগ করা হল।’
কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে তিনি ‘অসাংবিধানিক’ ও ‘অনৈতিক’ বলে উল্লেখ করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিশনের সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘অমিত শাহ কলকাতায় লোক এনে হামলা করল, অথচ তাঁকেই পুরস্কৃত করল কমিশন।’ মমতার কথায়, ‘বৃহস্পতিবার মোদীর দুটো জনসভা রয়েছে বাংলায়৷ তাই এই বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত প্রচারের সুযোগ দিয়েছে কমিশন৷’
স্বরাষ্ট্রসচিব ও এডিজি সিআইডিকে অপসারিত করায় কমিশনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে মমতা বলেন, ‘এটা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ নয়, এটা বিজেপি পার্টির নির্দেশ৷ সেন্ট্রাল ফোর্সকে দিয়ে নির্বাচন করাচ্ছে বিজেপি৷’ এরপরেই মোদীকে আক্রমণ শানিয়ে মমতা বলেন, ‘মোদী আজ এসেছিলেন কিন্তু কোনও দুঃখ প্রকাশ করেনি৷ বাংলার মানুষ এ জিনিস বরদাস্ত করবে না৷ অন্যায় করেছে অমিত শাহ৷ বাইরে থেকে গুন্ডা নিয়ে এসে গেরুয়া পোশাক পরে হামলা চালানো হয়েছে৷ পুরো কলকাতাকে দাঙ্গার পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে।’
একইসঙ্গে অমিত শাহকে আক্রমণ শানিয়ে মমতা বলেন, ‘বুধবারই অমিত শাহ কমিশনকে হুমকি দিয়েছে৷ সেজন্যই এই পদক্ষেপ৷ বাংলা জম্মু-কাশ্মীর নয়, বিহার নয়, উত্তরপ্রদেশ নয়, ত্রিপুরা নয়৷ চ্যালেঞ্জের সুরে তিনি জানান, তাঁকে এবং বাংলার মানুষকে ভয় পেয়েই মোদি-শাহরা কমিশনকে দিয়ে একাজ করাচ্ছে৷’
যেহেতু কমিশনের নির্দেশে প্রচারের সময় একদিন কমে গিয়েছে, তাই প্রচারেও কাঁটছাঁট করেছেন মমতা৷ শুক্রবারের সমস্ত সূচি বৃহস্পতিবারে এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি৷