আগামী বাংলার আট কেন্দ্রে ষষ্ঠ দফার ভোট গ্রহণ। তার আগে নির্বাচনের শেষ প্রচার ছিল শুক্রবার। এদিন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সমর্থনে বাঁকুড়া শহরে এক মহামিছিলের আয়োজন করা হয়। এই মহামিছিলের নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মহামিছিলে তৃণমূলের সর্বস্তরের কর্মী ও নেতা এবং অসংখ্য মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বাঁকুড়া শহরের মাচানতলা থেকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সমর্থনে মহামিছিল শুরু হয়। মিছিল শেষ হয় পাঁচবাগায়। হুড খোলা গাড়িতে ছিলেন অভিষেক, সুব্রত, জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ। বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র–সহ এই মিছিল যতই এগিয়েছে, ততই মানুষের উৎসাহ দেখা গেছে। এই মহামিছিলে অসংখ্য মানুষের সমাগম হয়। এমনকি শুধুমাত্র মিছিল দেখতে রাস্তার দু’পাশে অপেক্ষা করেছিলেন অসংখ্য মানুষ। মিছিল শেষে সুব্রতবাবু বলেন, “দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে এত উদ্দীপনা আগে কখনও দেখিনি। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের জয় শুধু মাত্র সময়ের অপেক্ষা”।
বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অধ্যাপক শ্যামল সাঁতরার সমর্থনে এদিন জয়পুর শহরেও মহামিছিল হয়। মিছিল শুরু হয় কুম্ভস্থল থেকে। জয়পুর পর্যন্ত মিছিল যায়। মিছিল শেষে শ্যামলবাবু বলেন, “এই কেন্দ্রে জয় নিয়ে মনে কোনও সংশয় নেই”। ২০১৪ সালের নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তিনি জিতেছিলেন ১,৪৯,৬৮৫ ভোটের ব্যবধানে। এবার ব্যবধান আরও বাড়বে বলে তিনি দাবি করেন।
উল্লেখ্য, রবিবার এই দুটি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে। বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে জঙ্গলমহলের রানিবাঁধ, রাইপুর, সিমলাপাল ও সারেঙ্গা ব্লক। ওই এলাকার জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। বাঁকুড়া কেন্দ্রে মোট ভোটার ১৬,৪২,৫৯৪ জন। বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে মোট ভোটার ১৬,২২,১১৬ জন। দুটি লোকসভায় মোট বুথের সংখ্যা ৩,৮০৬টি। এদিকে, এদিনই বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে জেলায় আসেন। তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, জেলা প্রশাসন ও পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠক করেন।