লোকসভা নির্বাচন যত শেষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ততই দিশেহারা হয়ে পড়ছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের কাজকর্মে সেইরকমই কিছুটা প্রতিফলিত হচ্ছে। এইরকমই উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে পঞ্চম দফা একটি ঘটনার কথা। টুইটারে এক মহিলার ভিডিও পোস্ট করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি দাবি করেন যে রাহুল গান্ধী আমেঠিতে বুথ দখল করাচ্ছেন। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ পাওয়া মাত্র সক্রিয় হয়ে ওঠে নির্বাচন কমিশন। গৌরীগঞ্জের যে বুথ নিয়ে স্মৃতি অভিযোগ করেছিলেন, কমিশনের তরফে সেই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরই ফাঁস হল আসল রহস্য। নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আনা বুথ দখলের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুয়ো।
সোমবার ভোট চলাকালীন এক বিজেপি কর্মীর পোস্ট করা ভিডিওকে হাতিয়ার করে স্মৃতি ইরানি অভিযোগ করেন, নিজের কেন্দ্রে বুথ দখল করছেন কংগ্রেস সভাপতি। স্মৃতির অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয়ে ওঠে কমিশন। সঙ্গে সঙ্গে গৌরীগঞ্জে পাঠানো হয় একজন সেক্টর অফিসার, একজন অবজার্ভার এবং অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকদের। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক লাক্কু ভেঙ্কটেশ্বরালু জানিয়েছেন স্মৃতি ইরানির অভিযোগ ভিত্তিহীন।
কমিশনের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে এই ভিত্তিহীন অভিযোগের কথা জানানো হয়। উত্তরপ্রদেশের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক লাক্কু ভেঙ্কটেশ্বরালু বলেন, “স্মৃতির অভিযোগ পেয়েই বুথে আমরা বিশেষ অফিসারদের পাঠায়। অবজার্ভাররা পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন। বুথের অন্য আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তাঁরা। তাঁরা জানিয়েছেন, ওই ভিডিওতে যে দাবি করা হয়েছে তা ভুয়ো। বাস্তবে এর কোনও ভিত্তি নেই।”
নির্বাচন কমিশনের এই বিবৃতির পরই স্মৃতি ইরানিকে কটাক্ষ করছেন কংগ্রেস নেতারা। তাদের অভিযোগ, শুধু রাহুলকে বদনাম করতে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে বিজেপি। হারের সম্ভবনা আছে বুঝে গিয়েই এইরকম কাজকর্ম করছে বিজেপির নেতা-নেত্রী। ভুয়ো অভিযোগ সামনে আসতেই সরব বিরোধীরা।