নৈহাটিতেও তৃণমূলের অস্ত্র উন্নয়ন। তৃণমূলের জমানায় নৈহাটির মানুষ নতুন স্টেডিয়াম পেয়েছে, নতুন বাসস্ট্যান্ড পেয়েছে। তৃণমূল উন্নয়ন করেনি, এ কথা বলা কোনো মতেই বয়া যাবে না। কারণ তৃণমূলের উন্নয়নের ধারা চোখে দেখা যায়। উত্তরের পাহাড় থেকে দক্ষিণের সমুদ্র, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের স্রোত সর্বত্র পৌঁছে গেছে। আর এই উন্নয়নের গাঙে তরী ভাসিয়ে নৈহাটিতে বাজিমাত করতে চাইছে তৃণমূল।
নৈহাটি পুরসভার চেম্বারে বসে চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বহু বছর আগে বামফ্রন্টের আমলে এই শহরে একটি অসম্পূর্ণ স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে ভালো মানের খেলার কোনও পরিকাঠামো ছিল না। এখন আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তার উপর বাস দাঁড়িয়ে যানজট তৈরি করত। স্টেশনের পূর্বপাড়ে নতুন বাসস্ট্যান্ড তৈরি করা হয়েছে। সুইমিং পুল তৈরি করা হয়েছে”। তিনি আরও বলেন, “বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের হাত ধরেই ২০১১ সাল থেকে এই বিধানসভায় যা উন্নয়ন হয়েছে, তা মানুষ দেখতে পাচ্ছেন। পুকুর ভরাট করে বাসস্ট্যান্ড করলে সরকার এই প্রকল্পের অনুমোদন দিত না। আসলে না জেনে বিরোধিতা করার জন্য এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করা ঠিক নয়। শুধু রাস্তাঘাট তৈরি বা আলো লাগানো নয়, শহরের খোলনলচে বদলে ফেলা হয়েছে। মানুষ তো উন্নয়ন চায়”।
বিরোধীরা নদীয়া জুটমিল বন্ধকে ইস্যু করতে চাইলেও, মানুষ বুঝিয়ে দিচ্ছেন মানুষ আবার তৃণমূল সরকারকেই চান। নৈহাটি ফেরিঘাটের কাছে একটি দোকানের সামনের বেঞ্চে বসে দু’জন বয়স্ক লোক গল্প করছিলেন। তাঁদের কথা বার্তায় উঠে এসেছে তৃণমূলের উন্নয়নে মানুষ কতটা খুশি। একজন বলছিলেন, আগের সরকার কি করেছিলেন? তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর নৈহাটিতে নতুন বাসস্যান্ড হয়েছে। নতুন স্টেডিয়াম তৈরি হয়েছে। মানুষ বাংলায় খুব শান্তিতে রয়েছে।