‘সামনের জুন মাসের ২৯ তারিখ আমার স্বামীর মৃত্যুর দু’বছর পূর্ণ হবে। ঘটনার পরে তো কত লোক এসেছিলেন। রাজনৈতিক দলের নেতা, মিডিয়া, প্রশাসন। কত আশ্বাস। এখন আর কেউ আসে না। একা হয়ে গিয়েছি খুব।’ কথা বলতে বলতে কান্নায় চোখ ভিজে যায় মরিয়মের। কিন্তু কে এই মরিয়ম? গোমাংস নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে গণপিটুনিতে খুন হওয়া রামগড়ের আলিমুদ্দিনের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন।
এই স্মৃতি এখনও টাটকা স্ত্রীর কাছে। সঙ্গে ক্ষোভও। কারণ অভিযুক্তরা তো এখনও বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাঁর গলায় রীতিমত ক্ষোভ। কারণ জিজ্ঞেস করতেই বলে ফেললেন, ‘যে লোকটা লাঠি দিয়ে আমার স্বামীকে পেটাচ্ছে সে নাকি ফেরার! অথচ ওকে আমি নিজেই বেশ কয়েকবার পাশের পাড়ায় ঘোরাঘুরি করতে দেখেছি। যারা হাইকোর্টে জামিন পেয়ে ঘুরছে তাদের সঙ্গেও আমার রাস্তাঘাটে দেখা হয়। ওদের দেখলে ভয়ে কেঁপে উঠি।’
স্বামীর মৃত্যুর পরে যে আর্থিক সাহায্য পেয়েছিলেন তা তলানিতে। সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, পরিবারের একজনকে চাকরি দেবে। চার ছেলেমেয়ের কেউই এখনও চাকরি পায়নি। সরকার উদাসীন ঘটনায়। কিন্তু মরিয়ন তাঁর সংগ্রহে রেখেছেন স্বামীর মৃত্যুর ছবি গুলো। যদি কখনও সুযোগ হয় অভিযোগকারদের চিনিয়ে দেবেন তিনি।
আর রামগড় কাণ্ডে হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর অভিযুক্তদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত সিনহা মালা পরিয়েছিলেন। বিতর্কের ঝড় উঠেছিল দেশজুড়ে। আর এটাই গেরুয়া শিবিরকে বড়সড় ধাক্কা দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেক রাজনীতিবিদরা।