গোটা দেশ জুড়ে এবার প্রবল ভাবে বইছে মোদী বিরোধী হাওয়া। যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশের মানুষকে বোকা বানিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মোদী তার কোনও কিছুই রাখতে পারেননি তিনি। এছাড়াও সংখ্যালঘু ভোটারদের মনেও জমা হয়েছে তীব্র অসন্তোষ। হাল বেগতিক দেখে ভোটব্যাঙ্ক বাড়ানোর জন্য শেষ পর্যন্ত হুমকি দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধী।
এখনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধীর কেন্দ্রে নির্বাচন হয়নি৷ তার আগেই নিজেকে জয়ী প্রার্থী ঘোষণা করে দিলেন৷ তবে এই জয়ের পিছনে সংখ্যালঘুদের অবদান না থাকলে ভোটের পর তিনিও ‘যথাযথ ব্যবস্থা’ নেবেন৷ আর সেটা আগে থেকেই সংখ্যালঘু ভোটারদের বুঝিয়ে দেন মানেকা গান্ধী৷ প্রশ্ন উঠছে যারা ভোট আদায়ের জন্যে এভাবে মানুষকে হুমকি দিতে পারেন, তাঁরা ফের ক্ষমতায় এলে কি হতে পারে! আরও কতটা খারাপ হতে পারে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবস্থা?
মুসলিমরা তাঁকে ভোট না দিলে তার ফল কী হবে সেটাও আগাম বুঝিয়ে দেন বিজেপি প্রার্থী৷ বলেন, ‘‘নির্বাচন আসলে বিনিময় প্রথা৷ আমাকে ভোট দেবেন৷ বিনিময়ে আপনাদের কাজ করব৷ সংখ্যালঘুরা ভোট দিলেও আমি জিতব না দিলেও জিতব৷ কিন্তু ভোটের পর যদি কোনও মুসলিম আমার কাছে কোনও কাজ নিয়ে আসেন তখন আমিও ভাবব তাদের কাজ করব কিনা৷ আমরা সকলেই তো মহাত্মার সন্তান৷’’৷ শেষের কথাটি বলেই হেসে ফেলেন মানেকা৷ তিনি জোর গলায় দাবি করেন, এই আসন থেকে তিনি জিতে গিয়েছেন৷ ক্যামেরার সামনে মানেকা বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি তো জিতেই আছি”৷
এখানেই না থেমে মানেকা বলেন, ‘‘আমি নিবার্চন জিতেই গিয়েছি৷ কিন্তু আপনাদের আমাকে দরকার হবে৷ এটাই সেই সুযোগ৷’’ মানেকার তিন মিনিটের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল৷ তারপরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভোটারদের চমকানোর অভিযোগ উঠেছে৷ ১০ দিন আগেই মানেকা এই কেন্দ্রে প্রচার শুরু করেন৷ এতদিন সুলতানপুর কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন তারই ছেলে বরুণ গান্ধী৷ দু’জনের আসনটি একে অপরকে দেওয়া হয়েছে৷ মা লড়বেন ছেলের আসনে৷ ছেলে লড়বেন মায়ের পিলিভিট কেন্দ্র থেকে৷
মানেকার সভার ভিডিও ভাইরাল হতেই তুমুল নিন্দার ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়াতে। প্রশ্ন ওঠে একজন মন্ত্রী কিভাবে এরকম হুমকি দিতে পারেন? তাও সংখ্যালঘুদের সভায় গিয়েই? কেউ কেউ আবার এমন দাবিও করেন যে বিজেপি এতই ভয় পেয়েছে যে আগে থেকেই জানে নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়বে তারা তাই শেষ পর্যন্ত হুমকি দিয়ে ভোট আদায়ের চেষ্টা করছে তাঁরা।