‘কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথের ভিতরে ঢুকে মাতব্বরি করছে।’ আজ কোচবিহারে ভোট শুরুর দু’ঘণ্টার মধ্যেই এই অভিযোগ তুলে একাধিক বুথে রিপোল-এর দাবি তুলেছেন কোচবিহারের জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। কমিশনের কাছে তাঁর অভিযোগ, বুথের বাইরে বিজেপির সন্ত্রাসের আর বুথের ভিতরে ঢুকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মাতব্বরিতে ভোটাররা ভোট দিতে পারছেন না। তিনি যে ভুল কিছু বলেননি, এবার মিলল তাঁর প্রমাণ। বিজেপির হামলায় পুলিশকর্মী আহত হওয়ার অভিযোগ উঠল কোচবিহারের বলরামপুরে। বলরামপুরে ৮/২৪৫ বুথে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের বাধা দিলে শুরু হয় পাথর বৃষ্টি। এতেই আহত হয়েছেন ২ জন পুলিশকর্মী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, বিজেপির সন্ত্রাসের চেষ্টায় পুলিশ বাধা দিতে এলে দিনহাটা থেকে বিজেপির বাইক বাহিনী এসে ঘিরে ধরে তাঁদের। তারপরই পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে তাঁরা। আর তাতেই আহত হন দুই পুলিশকর্মী। আহত পুলিশকর্মীরা জানিয়েছেন, ‘আমরা ৩ জন ছিলাম। আমাদের ঘিরে ধরা হয়েছিল। হাত ধরে টানাটানিও করে।’ উল্লেখ্য, এদিন সকালে ভোট দিতে গেলে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ৷ তাঁর দাবি, ‘আমি যখন ভোট কেন্দ্রে ঢুকি আমার সঙ্গে সঙ্গে দুজন সিআরপিএফ জওয়ান আসে৷ কিন্তু তাদের ভোটকেন্দ্রে ঢোকার কোনও অনুমতি ছিল না৷ আমি একথা বলার পরও তারা ঘরের বাইরে যায়নি৷’
এরপরই মন্ত্রী নিজের আশঙ্কার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, আমাকেই এমন হেনস্থার মুখে পড়তে হলে, সাধারণ মানুষকে কতটা হেনস্থা হতে হবে৷ বেলা বাড়তেই বোঝা গেল তাঁর আশঙ্কা কতটা ঠিক। আজ সবে ভোটের প্রথম দফা, আর আজ থেকেই সন্ত্রাস শুরু বিজেপির।