কয়েকমাস আগেই জনসনের বেবি পাউডারে ক্যান্সারের রাসায়নিক রয়েছে দাবি করে পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু হয়েছিল। যদিও সেসব উপেক্ষা করেই বেবি পাউডারের উৎপাদন ফের শুরু করার কথা জানিয়েছিল জনসন অ্যান্ড জনসন। কারণ সরকারি পরীক্ষাগারে এই পাউডারে তেমন ক্ষতিকর কিছু পাওয়া যায়নি। কিন্তু ফের বিপত্তি জনসনে। রাসায়নিক পরীক্ষায় এবার পাস করতে পারল না জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি শ্যাম্পু।
রাজস্থানে মান পরীক্ষায় এই সংস্থার বেবি শ্যাম্পুতে মিলেছে ক্যান্সারের রাসায়নিক। এরপরেই জনসনের শ্যাম্পু নিয়ে নোটিস জারি করে রাজস্থানের মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নোটিসে বলা হয়েছে জনসনের শিশু প্রসাধনী শিশুদের ব্যবহারের পক্ষে সন্তোষজনক নয়। ইতিমধ্যেই আমেরিকায় বাতিল করা হয়েছে জনসনের বিভিন্ন শিশু প্রসাধনী।
রাজস্থান মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার নতুন নোটিসে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। গত পাঁচই মার্চ রাজস্থান মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে দুটি ব্যাচে জনসনের বেবি শ্যাম্পুর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। দুটি ব্যাচের পরীক্ষাতেই পাস করতে পারেনি জনসনের এই শিশু প্রসাধনী। পরীক্ষার পর জানানো হয়েছে এই শ্যাম্পুতে ক্ষতিকর রাসায়নিক রয়েছে। তবে সেই ক্ষতিকর রাসায়নিকের নাম বিশদে কিছু জানানো হয়নি। তবে ফরমালডিহায়েড রাসায়নিকের অস্তিত্ব রয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। এই রাসায়নিক শরীরে ক্যান্সারের প্রবণতা বাড়তে পারে। যদিও জনসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে এই ধরনের কোনও রাসায়নিক বেবি শ্যাম্পুতে ব্যবহার করা হয় না।
বহু বছর ধরেই শিশুদের ত্বক পরিচর্যার ক্ষেত্রে মায়েদের অন্যতম ভরসা ছিল জনসনের পাউডার, সাবান ইত্যাদি দ্রব্য। তবে পরপর জনসন নিয়ে যা হচ্ছে তাতে সকলে একেবারে হারিয়ে ফেলছেন সেই ভরসা।