গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গী হামলার ঘটনায় সরাসরি পাক যোগের প্রত্যক্ষ প্রমাণ পেয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। আর তারপর থেকেই ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। যতক্ষণ পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, ততক্ষণ তাঁদের সঙ্গে কোনও আলোচনা নয়। এমনটাই বক্তব্য ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু এই অবস্থাতেও ইমরান খানের দিকে সৌজন্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই! আজ ২৩ মার্চ পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক দিবস। সেই উপলক্ষ্যেই নাকি শত্রু দেশকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদী!
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান খোদ টুইট করে জানিয়েছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নাকি তাঁকে পাকিস্তানের জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। খবর পাওয়া মাত্রই আসরে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, পাক প্রধানমন্ত্রী যে টুইট করেছে, সেটি সত্যি কিনা! অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কী পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সেদেশের জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন? টুইটে প্রধানমন্ত্রী দফতরকে উল্লেখ করে কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী জানতে চেয়েছেন, ‘ইমরান খানের টুইটের সত্যতা কতখানি? যেখানে ভারত সরকার পাকিস্তানের জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান বয়কট করেছে, সেখানে মোদি কী সত্যিই ইমরান খানকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন? গোটা দেশ সেটা জানতে চায়।’
এদিকে এদিন ইমরান টুইট করে জানান, ‘মোদী তাঁকে জাতীয় দিবসের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, জাতীয় দিবসে পাকিস্তানের নাগরিকদের আমার শুভেচ্ছা। সময় এসেছে উপমহাদেশের নাগরিকদের একসঙ্গে হাত ধরে গণতান্ত্রিকভাবে, শান্তিপূর্ণভাবে উন্নতির পথে এগোনোর। যে পথে সন্ত্রাস ও হিংসা থাকবে না।’ এরপর মোদীর এই বার্তাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আরও একটি টুইট করেন ইমরান। লেখেন, ‘সময় এসেছে ভারতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্ত সমস্যা সমাধান করার। দুই দেশকে এগিয়ে এসে নতুন সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে শান্তি ও উন্নতির মধ্য দিয়ে।’
প্রসঙ্গত, আজকের দিনটিকে পাকিস্তান ন্যাশনাল ডে হিসেবেও পালন করে থাকে ওই দেশের জনগণ। জানা গেছে, এই বিশেষ দিনে ইসলামাবাদকে মোদী এই বার্তাই দিয়েছেন যে, উপমহাদেশের মানুষদের এই মুহূর্তে উচিত গণতন্ত্র বাঁচাতে, শান্তি এবং উন্নতির জন্য হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করা।