যত দিন যাচ্ছে, ততই আরও প্রকাশ পাচ্ছে ‘আচ্ছে দিন’-এর মহিমা। দেশের অর্থনীতির ওপর নোটবন্দী ও জিএসটির কী ভয়ানক প্রভাব পড়েছে , তা এখন টের পাচ্ছে দেশের সর্বস্তরের মানুষ। মোদী জমানার ৫ বছর অতিক্রান্ত হতেই কৃষিক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার আবার ঠেকল তলানিতে। তথ্য বলছে শেষ বার এত খারাপ অবস্থা হয়েছিল বাজপেয়ী জমানার শেষলগ্নে। এক বেসরকারি ইংরেজি সংবাদ মাধ্যম প্রকাশিত প্রতিবেদনেও তেমনটাই দাবি করা হয়েছে। জানানো হয়েছে গত ত্রৈমাসিকে কৃষিক্ষেত্রে আয় বৃদ্ধির হার ছিল ২.০৪ শতাংশ। যা গত ১১টি ত্রৈমাসিকে সর্বনিম্ন।
ওই প্রতিবেদনে এমনও দাবি করা হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান দফতর থেকে প্রকাশিত তথ্য বলছে, গত ত্রৈমাসিকে কৃষিক্ষেত্রে আয় বৃদ্ধির হার ছিল ২.০৪ শতাংশ। যা গত ১৪ বছরে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০০৪ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে কৃষিক্ষেত্রে আয় বৃদ্ধির হার হয়ে গেছিল ঋণাত্মক। যা ছিল -১.১ শতাংশ। প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কৃষকদের জন্য একের পর এক প্রকল্পের ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। কিন্তু আদতে যে তাতে কোনও লাভই হয়নি কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান দফতরের প্রকাশিত তথ্য থেকেই তা স্পষ্ট। তাই দেশের তামাম কৃষকদের মনের ভেতরে এখন একটাই প্রশ্নই যেন ঘুরপাক খাচ্ছে, ‘এ কোন আচ্ছে দিন, রাতের চেয়েও অন্ধকার!’