রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুরুলিয়ার বান্দুনালা পাম্প স্টোরেজটি পিপিপি মডেলেই গড়া হবে। এ ব্যাপারে কয়েকটি আগ্রহী সংস্থার থেকে প্রাথমিকভাবে প্রস্তাব পাওয়া গেছে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের অযোধ্যা পাহাড়ে একটি ৯০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পাম্প স্টোরেজ প্রকল্প আছে। এছাড়া পুরুলিয়ার তুর্গায় ৬,৯২২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ১০০০ মেগাওয়াট পাম্প স্টোরেজ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য।
গত বৃহস্পতিবার বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে জেএসডব্লিউ-এর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সজ্জন জিন্দাল বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে ৭,১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০০০ মেগাওয়াট সম্পন্ন পাম্প স্টোরেজ তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে”।
বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “জাইকার সাহায্যে আমরা তুর্গা প্রকল্পটি গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি তবে বান্দুনালা প্রকল্পটি একটি বেসরকারি সংস্থার সাথে গাঁটছড়া বেঁধে করা হবে”। তুর্গার প্রকল্পটির জন্য জাইকা ৫,০০০ কোটি টাকা ঋণ দেবার কথা জানিয়েছে।
অন্যদিকে বীরভূমের দেউচা পাচামি কয়লা ব্লকে উৎপাদন চালু করতে পোল্যান্ড কারিগরী সহায়তা দিতে রাজি। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, পোল্যান্ড থেকে ৩৫ জনের একটি টিম দেউচা পাচামি প্রকল্পে যুক্ত হতে ইচ্ছুক। তাঁদের কাছে ভূগর্ভস্থ মাইনিং-এর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আছে। পোল্যান্ডের প্রতিনিধি রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী ও বিদ্যুৎসচিব সুনীল গুপ্তাদের একটি বৈঠক হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এই প্রকল্পের পথে প্রধান বাধা প্রায় ৫০০ মিটার পুরু পাথরের স্তর। পোল্যান্ডের প্রতিনিধিরা আশ্বাস দিয়েছেন যে তাঁরা প্রযুক্তির মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। এশিয়ার বৃহত্তম কয়লা খনি দেউচা পাচামি-তে প্রায় ২১০ কোটি টন কয়লা সঞ্চিত আছে।