আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি, বুধবার নয়াদিল্লীতে নতুন গোর্খাভবনের শিলান্যাস করবেন স্বয়ং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশজুড়ে মোদী বিরোধিতার জোর বাড়াতে মঙ্গলবারই দিল্লী পৌঁছচ্ছেন তিনি। তার পরদিন গোর্খাভবনের শিলান্যাস করেই রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নেমে পড়বেন মমতা।
সাকেতে পুষ্পবিহারে ৪০ নম্বর প্লটে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি। সেইদিনই শেষ হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। ষোড়শ লোকসভার অন্তিম অধিবেশনও বটে। তাই ওইদিন সকালে তৃণমূলনেত্রী সংসদেও যেতে পারেন। পরের দিন বিরোধীদের সঙ্গে মোদী হঠাওয়ের স্ট্র্যাটেজি বৈঠক হতে পারে। ১৪ ফেব্রুয়ারি আবার দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে দিল্লির আম আদমি পার্টি সরকারের চতুর্থ বর্ষপূর্তি। তার জন্য মঙ্গলবার থেকেই আপের নানা কর্মসূচি রয়েছে। কেজরিওয়ালের আমন্ত্রণে মমতা সেখানে যেতেও পারেন বলে খবর।
তবে তাঁর দিল্লী যাওয়ার মূল এজেন্ডাই মোদী হঠাও। তাই যন্তরমন্তরে মোদী-বিরোধী ধর্নাই আপাতত তাঁর পাখির চোখ। সেখানেই একজোট হবে বিরোধীরা। গত ১৯ জানুয়ারি তৃণমূলের আয়োজনে ব্রিগেডের সভায় যে ২২টি দলের প্রতিনিধিদের মঞ্চে দেখা গিয়েছিল, একইভাবে যন্তরমন্তরেও তা দেখা যাবে বলে জানা গিয়েছে। ওদিনই লোকসভা ভোট যুদ্ধের বিউগল বাজিয়ে দেওয়া হবে দিল্লী থেকে। এবং সেখানেই ঘোষণা করা হবে আগামীদিনের কর্মসূচি। আগামী ১৩ তারিখে মমতাই যে ওই মোদী বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান ভূমিকা নেবেন, তা বলাই বাহুল্য।