দুজনের শরীরেই বইছে রাজরক্ত। দুজনেই পতৌদি এস্টেটের নবাবের বংশধর। দুজনের বাবার নামই সইফ আলি খান। একজনের বয়স ২৫। অন্যজনের মাত্র দুই। কিন্তু জনপ্রিয়তার নিরিখে দু’বছরের খুদে পিছনে ফেলে দিয়েছে তাঁর ২৫ বছরের দিদিকে। এমনটাই মনে করেন সইফ কন্যা সারা আলি খান। আর সেই খুদের নাম তৈমুর আলি খান।
জন্মের পর থেকেই লাইমলাইটে রয়েছে তৈমুর। খান পরিবারের এই খুদে সদস্যের ছবি, ভিডিয়ো সবই নিমেষে ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকি তার আদলে তৈরি পুতুল এখন টেক্কা দিচ্ছে বার্বিডলকেও। কিন্তু সারা অত ছোট বয়স থেকে লাইমলাইটে আসেননি। ২০১৮-র শেষে ‘কেদারনাথ’ ছবির মাধ্যমে সদ্য বলিউডে ডেবিউ করেছেন এই স্টার কিড। ‘সিম্বা’তেও তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে বিভিন্ন মহলে। অর্থাৎ সিনেমা জগতে আসার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। কিন্তু তৈমুরের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম।
এই বয়সেই তাঁর ভাইয়ের এমন জনপ্রিয়তা দেখে কি চটেছেন সারা? সম্প্রতি একটি ম্যাগাজিনকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সারা বলেন, ‘তৈমুর বাড়ি থেকে হেঁটে বেরলেই খবর হয়ে যায়। আমাদের কিন্তু হেডলাইনে আসতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়।’ সারার এমন মন্তব্যের পরেই তাঁর ক্ষোভের আঁচ পেয়েছেন সিনে মহলের একটা অংশ। কিন্তু রাগটা ভাই তৈমুরের জন্য, নাকি মিডিয়ার ওপরেই, তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত সকলেই।
প্রসঙ্গত, ক্রমাগত তৈমুরের শিরোনামে থাকা নিয়ে মতভেদ রয়েছে পরিবারের অন্দরেই। খোদ করিনার বাবা রণধীর কপূর নাতির এ হেন হাইলাইটে থাকাকে ভাল চোখে দেখেন না। সে কথা তিনি প্রকাশ্যেও বলেছেন একাধিকবার। অন্যদিকে করিনা মনে করেন, স্বাভাবিক ভাবে তৈমুরের বড় হওয়া উচিত। যে কোনও জায়গায় সে যে আলাদা মনোযোগ পাবে, তা বুঝে নিতে হবে ছোট থেকেই। আর এবার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সারাও। মোদ্দাকথা, তৈমুরকে নিয়ে মিডিয়ার এত মাতামাতি করার ঘটনায় সায় নেই তার পরিবারের অনেকেরই