ব্যক্তিগত কম্পিউটারের পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ল্যাটফর্মে নজরদারি চালাতে চলেছে কেন্দ্র। এই জন্য আইটি আইনের ৭৯ ধারাকে সংশোধন করে লাগু করতে চাইছে মোদী সরকার। এর প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট করে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুললেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার ওই পোস্টে মমতা লেখেন, ‘ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকারের আকস্মিক আগ্রহে আমরা উদ্বিগ্ন। ইন্টারনেটকে নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়ে বিজেপি সরকার আইনে যে সংশোধনগুলি করেছে সেগুলি আমি পড়েছি। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের মুক্ত চিন্তা এবং সরকারের ভুল নীতির সমালোচনা করায় তারা ভয় পেয়েছে। যে সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা অন্যকে আক্রমণ শানায়, এমনকি ২০১৪ সালে বিজেপির জেতার পেছনেও যার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল সেই সামাজিক মাধ্যমকে তারা এখন ভয় পাচ্ছে’।
এরপরেই মমতা প্রশ্ন তোলেন, ‘ঠিক ভোটের আগেই এই আইন সংশোধনের প্রয়োজন পড়ল কেন? তারা কী মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সেন্সর করতে চাইছে? সামাজিক মাধ্যম জনসাধারণের মত প্রকাশের ক্ষেত্র হয়ে ওঠায় কি তারা চিন্তিত’?
সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে কেন্দ্রের এই তুঘলুকি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার আহ্বান জানিয়ে মমতা বলেন, ‘অনুরোধ করি এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি কেন্দ্রের এই ভুল নীতির বিরুদ্ধে একজোট হোক। এই নিয়ে সংসদেও সরব হওয়ার আহ্বান জানাই’।
মমতার কথায়, ‘আমরা কোনোভাবে ভারতের গণতন্ত্র এবং সামাজিক মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সেন্সরের অনুমতি দিতে পারি না’।