মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিখরচার চিকিৎসা প্রকল্পের জন্য সরকারি হাসপাতালে হার্টের রোগীদের জন্য এল ৯ লাখ টাকা দামের জীবনদায়ী যন্ত্র। এবার থেকে বিনাপয়সায় এই যন্ত্রের সুবিধা নিতে পারবেন সরকারি হাসপাতালের হার্টের রোগীরা। জানা যাচ্ছে, এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগীদের জন্য দেওয়া এটাই সবচেয়ে দামি যন্ত্র।
একইভাবে ব্লাড ক্যান্সারের রোগীদের প্রাণ বাঁচাতেও খরচের কার্পণ্য করছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এনআরএস মেডিক্যাল কলেজেরই হেমাটোলজি বিভাগের এক রোগিণীর জন্য সরকার ব্যবস্থা করেছে আইব্রুটিনিব নামে এক ধরনের দামি ওষুধের। খোলা বাজারে যার দাম আড়াই লক্ষ টাকারও বেশি। দিনে খেতে হয় তিনটি করে। মাসে লাগে ৯০টি। পাওয়া যায় একসঙ্গেই। এক এক মাসের ওষুধ সরকার কিনছে কমবেশি ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকায়। দিচ্ছে বিনামূল্যে। বাইরে খরচ আড়াই লাখের বেশি।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, শুধুমাত্র এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই এ বছর জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ছ’টি ডিফ্রিবিলেটর লাগিয়েছেন কার্ডিওলজিস্টরা। বিভাগীয় প্রধান ডাঃ কাজল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এর আগে লেফট বান্ডেল ব্রাঞ্চ ব্লক বলে এক ধরনের হার্ট ফেলিওরের স্থায়ী সমাধান করতে পারতাম না আমরা। এখন সিআরটিডি’র মতো যন্ত্র এবং তার আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন করতে পারছি, সব ফ্রি-তে। অধিকাংশ রোগীও ভালো আছেন। পিজিতে জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ১৬টি সিআরটিডি লাগিয়েছেন কার্ডিওলজিস্টরা। বিভাগীয় প্রধান ডাঃ শঙ্কর মণ্ডল বলেন, অধিকাংশ রোগীই পকেটের পয়সা খরচ করে যন্ত্রটি কিনতে পারতেন না। আমরা এখন এটি বিনামূল্যে দিচ্ছি।