বিপ্লবের সূতিকাগৃহে মদ খেয়ে ছাত্রী বেহুঁশ। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল যাদবপুর। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পরীক্ষা চলছে। তার মধ্যেই ক্যাম্পাসের সুবর্ণজয়ন্তী ভবনের তিনতলা থেকে বেহুঁশ অবস্থায় উদ্ধার করা হল এক ছাত্রীকে। পরে তাঁকে কিছুটা সুস্থ করে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই ছাত্রী মদ্যপান করেছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
সূত্রের খবর,ওই ছাত্রী ইংরেজি অনার্সের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা জানিয়েছে, চার নম্বর গেটের কাছে সুবর্ণজয়ন্তী ভবনের তিনতলায় বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে মদের আসরে বসেছিল সে। অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে সে বেহুঁশ হয়ে পড়লে বাকিরা পালায়। এদিকে মত্ত ছাত্রীর বেহুঁশ হয়ে গেছে খবর পেয়ে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু এবং আরও কয়েকজন সেখান থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করেন। ওই ছাত্রীর নাম ও রোল নম্বর লিখে রাখা হয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সহ উপাচার্য প্রদীপ ঘোষ। বলা বাহুল্য, ঘটনাটি নিয়ে বেশ শোরগোল ছড়িয়েছে ক্যাম্পাসে।
অন্যদিকে মদ খেয়ে অচৈতন্য হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই অস্বস্তিতে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অবশ্য তাদের দাবি, ‘অ্যাংজাইটি অ্যাটাক’ হয়েছিল বলে ছাত্রীটি জানিয়েছে। রেজিস্ট্রারের কথায়, আমি সেখানে কোনও মদের বোতল পাইনি। গন্ধও মেলেনি। তিনি এ কথা বললেও এদিন প্রত্যেক বিভাগীয় প্রধান এবং ডিনকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সন্ধ্যার পর যেন কোনও ছাত্রী ক্যাম্পাসে না থাকে। এমন কিছু যাতে আর না ঘটে, সে ব্যাপারে বিভাগীয় প্রধানদের দেখতে হবে। বিষয়টি আর্টস ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গড়া হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে।
এমন ঘটনার সমালোচনায় মুখর হয়েছেন ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ। তাঁদের কথায়, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে আসি। কেউ চাইলে নেশা করতেই পারে। কিন্তু সেটা ক্যাম্পাসের মধ্যে কেন? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা সুনাম আছে। কিন্তু এমন ঘটনায় সেই সুনাম নষ্ট হতে বসেছে।