তিনি তৃণমূল সাংসদ৷ আবার বিশ্বভারতীর অধ্যাপকও। তবে সংসদের কাজ ও অধ্যাপনা, কোনও কিছুতেই আর মন বসছে না তাঁর। ইদানীং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার কাজেই নিজেকে ‘সঁপে’ দিয়েছেন অনুপম হাজরা। আগামী লোকসভা ভোটে বোলপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হতে চলেছেন অসিত মাল। সোমবার টুইট করে এমনই জানালেন সেখানকার বর্তমান সাংসদ অনুপম। যা নিয়ে আলোড়ন পড়ে গেছে দলের অন্দরে।
আগামী লোকসভা ভোটের প্রার্থী তালিকা এখনও প্রকাশই করেনি তৃণমূল। একমাত্র দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই জানেন কার কার কপালে জুটবে নির্বাচনের টিকিট, কে কোন কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। কিন্তু তার আগেই সোমবার সন্ধ্যায় অনুপম টুইট করে বসেন, ‘আসন্ন ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে শ্রী অসিত মাল মহাশয়কে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়ী করুন।’ অর্থাৎ আগামী লোকসভা ভোটে ওই কেন্দ্রে তৃণমূল তাঁকে টিকিট দিচ্ছে না, এমন অভিযোগ করে বোলপুরে বিশৃঙ্খলা তৈরী করতে চাইছেন তিনি।
প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগেই অনুপম কীভাবে এমন টুইট করতে পারেন, এ নিয়ে ক্ষুব্ধ দলীয় নেতৃত্ব। দলনেত্রীর আগেই প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়া এবং দলের নির্দেশ ছাড়াই ভোট প্রচার করা যে দল এবং নেত্রীকে অবমাননা করাই! ফলে অনুপমের এমন কাজ যে নির্বুদ্ধিতার পরিচয় তা স্বীকার করছেন সকলেই।
তবে এই প্রথম নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুপমের একাধিক পোস্ট এবং দলবিরোধী কাজ এর আগেও দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। প্রতিবারই তিনি নতুন নতুন বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন। এমনকি জেলা নেতৃত্ব তাঁর বিরুদ্ধে এমনও অভিযোগ করেছিল যে অনুপম জেলা নেতৃত্বের কাজে হস্তক্ষেপ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন।
এ জন্য বোলপুরের সাংসদকে তিরষ্কৃতও হতে হয়েছে বহুবার। সমালোচনার মুখে পড়ে মাস কয়েক আগে নিজের নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিলিটও করে দিয়েছিলেন অনুপম। কিন্তু তবুও নিজেকে শোধরাননি তিনি। যার জলজ্যান্ত প্রমাণ গতকালের বিতর্কিত টুইটটি। তৃণমূল সূত্রে খবর, অনুপমের উপর অসন্তুষ্ট খোদ দলনেত্রীও। শীঘ্রই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দল।