গৃহযুদ্ধে জেরবার বিজেপি। লোকসভা ভোটে কীভাবে বাংলা থেকে বিজেপি ২২ আসনে জিতবে সেই নিয়ে দলের অন্দরেই এখন ঘোর সংশয়। কোমর বেঁধে লড়াই করার চেয়ে নিজেদের ইগো নিয়েই মেতে আছে বঙ্গ বিজেপির নেতারা। ফলে কখনও মুকুল-দিলীপ তো কখনও মুকুল-রাহুল – লেগে যাচ্ছে বারবার।
মাসখানেক আগে কোমরের চোট সারিয়ে হাসপাতাল থেকে ফেরার পর দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলেছিল। বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্য সভাপতির ইঙ্গিতটা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহার দিকেই। সেই আখ্যান পেরানোর পর আবার নতুন করে মুষলপর্ব রাজ্য বিজেপিতে। রথযাত্রার আগে এনিয়েই তোলপাড় ৬, মুরলীধর সেন লেনের গেরুয়া বাড়ি। এবার বিজেপি নেতা অশোক সরকারের তথ্যের অধিকার আইনে ৪ টি আবেদন ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিজেপির অন্দরমহলে। যেগুলি ছোঁড়া হয়েছে মুকুল রায় ও দিলীপের উদ্দেশ্যে।
সম্প্রতি জেড শ্রেণির নিরাপত্তা পেয়েছেন দিলীপ ঘোষ। আবেদনে অশোক জানতে চেয়েছেন, কী কারণে তাঁর নিরাপত্তা জেড শ্রেণির করা হল?
পরের আবেদনে বলা হয়েছে, দিলীপ ঘোষকে জেড ক্যাটগরির নিরাপত্তা দিতে গিয়ে করদাতাদের পকেট থেকে কত খরচ হচ্ছে?
তৃতীয় আবেদনে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহাকে জেড ক্যাটগরির নিরাপত্তা দেওয়া হল না?
মুকুল সংক্রান্ত আবেদনে তো একেবারে মৌচাকে ঢিল মেরেছেন অশোক। জানতে চেয়েছেন, সারদায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের যোগ নিয়ে সিবিআই তদন্তের পরিস্থিতি কী?
রাহুল সিনহাকে অশোকের রাজনৈতিক গুরু বলা হয়। এটাকেই দুইয়ে দুয়ে চার করছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁদের মতে, রাহুলের প্রশ্রয় না থাকলে অশোক এতটা খুলে খেলতে পারতেন না। অবশ্য এই বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন অশোক। অশোকের দাবি, তাঁর সই জাল করা হয়েছে। কিন্তু কেন জাল করা হয়েছে? কে জাল করল? উঠছে প্রশ্ন।
আরও প্রশ্ন, বিজেপি নেতারা এমন কোন্দলে জড়ালে বাংলায় রাজনৈতিক লড়াইটা কে লড়বে? ২২ আসন জেতারই বা কি হবে?