মাঙ্কিগেট বিতর্ক। দশ বছর আগের ঘটনা। মন থেকে মুছে যায়নি। যেতই বা কী করে? কারণ ২০০৮–এর ওই ঘটনাই যে তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের লেখচিত্রটা বদলে দিয়েছিল। তা ক্রমশই করেছিল নিম্নমুখী। আর সেটা যত দিন যাচ্ছে, তত বেশি করে বুঝছেন অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস।
২০০৮ সালের জানুয়ারি মাস। সিডনিতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট। অস্ট্রেলিয়ার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস অভিযোগ করেন, ম্যাচের মাঝেই হরভজন সিং তাঁকে বাদর বলে অপমান করেছেন। হরভজন অভিযোগ অস্বীকার করেন। ভারতীয় স্পিনার জানান, সাইমন্ডস তাঁকে আগাছা বলেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত হরভজনকে তিন ম্যাচের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছিল। পরে অবশ্য ভারতীয় দল সিরিজ বয়কট করার হুমকি দিলে ভাজ্জির উপর থেকে নির্বাসন তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু সেই সময় সাইমন্ডস আর হরভজনকে ঘিরে সেই সময় তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল ক্রিকেট বিশ্ব। ঘটনাটা ক্রিকেট ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে রয়েছে মাঙ্কিগেট নামে।
সাইমন্ডসের কথায়, ‘মাঙ্কিগেট বিতর্কের মুহূর্ত থেকে আমার ক্রিকেট জীবনের পতন শুরু। প্রচণ্ড পরিমাণে মদ খেতে শুরু করি। চোখের সামনে দেখতে দেখতে আমার সব কিছু ভেঙে চুরমার হয়ে যায়! অসম্ভব একটা চাপ মনের ওপর তৈরি হয়। কেন যে এই নরককুণ্ডে নিজের সতীর্থদের টেনে আনলাম, ওদের জড়ালাম, এই ভাবনাটাই কুরে কুরে খেতে শুরু করে। গোটা ব্যাপারটা আমি খুব ভালভাবে আসলে সামলাতে পারিনি।’
তবে সাইমন্ডস জানিয়েছেন, ওই সিরিজে একবার নয়, বেশ কয়েকবার হরভজন তাঁকে স্লেজিং করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছেন, ‘সফরের আগেই আমার ওর সঙ্গে কথা হয়েছিল। ও আগেই আমাকে মাঙ্কি বলেছিল। একদিন ভারতের ড্রেসিংরুমে তাই চলে গেছিলাম। গিয়ে হরভজনকে বাইরে আসতে বলি। তারপর ওকে সাফ জানিয়েছিলাম, এইরকম নামে ডাকা, সম্বোধন করাটা তুমি বন্ধ করো। না হলে ব্যাপারটা হাতের বাইরে চলে যাবে।’