যেন একই অঙ্গে নানা রূপ! বিসর্জন হয়ে যাওয়া মা দুর্গার কাঠামো জল থেকে তুলেই, তাতে মাটি লেপে দেওয়া হচ্ছে কালীর আদল।
হ্যাঁ, জলে পড়া দুর্গার কাঠামোগুলি তুলেই, কুমোরটুলির পটুয়াপাড়ায় শুরু হয়ে গেল কালী প্রতিমা তৈরির কাজ। দুর্গার সঙ্গে বিভিন্ন সাইজের লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশের কাঠামোতেও ইতিমধ্যে পড়েছে মাটির প্রলেপ, যেখানে ধীরে ধীরে শক্তিদায়িনী মায়ের রূপ ফুটে উঠবে।
কুমোরটুলির বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে দেখা গেল, সেখানে নানান জায়গায় বিজয়া দশমীর পর নিরঞ্জন হওয়া প্রতিমার কাঠামো স্তূপাকৃতি হয়ে পড়ে রয়েছে। কোথাও দেখা গেল, নিরঞ্জন হওয়া প্রতিমার কাঠামো থেকে খড় খুলে ফেলা হচ্ছে। সেই কাঠামোয় কালীমূর্তির আদলে দড়ি দিয়ে খড় বাঁধার কাজ চলছে দ্রুতগতিতে।
উত্তর কলকাতার বাবুঘাট, বাগবাজার, রতনবাবুর, কাশীপুর, প্রামাণিক ঘাট সহ বিভিন্ন গঙ্গার ঘাটে বিজয়া দশমী এবং তার পরের কয়েকদিন ধরে প্রচুর সংখ্যক প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। সেখানে পুরসভার উদ্যোগে গঙ্গা থেকে প্রতিমার কাঠামো তুলে ফেলা হয় দ্রুত।
পুরসভার পাশাপাশি কাঠামো বিক্রির কাজে যুক্ত থাকা কিছু যুবকও সেই কাজে হাত লাগান। তাঁরা জল থেকে কাঠামো তুলে তা ভ্যান, ম্যাটাডোর অথবা অন্য কোনও যানবাহনে চাপিয়ে তা কুমোরটুলির পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় মৃৎশিল্পীদের ডেরায় বিক্রি করেন।
তবে এ সবের পাশাপাশি নতুন করে বাঁশ এবং কাঠ দিয়ে কালীমূর্তি তৈরির জন্য কাঠামো বাঁধার কাজও চোখে পড়ল। আর কিছু কিছু মৃৎশিল্পীর ঘরে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পঞ্চমীর অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে বায়না করা নানা সাইজের কালী প্রতিমা তৈরির কাজ। সব মিলিয়ে কালীপুজো যত এগিয়ে আসছে, কুমোরটুলিতে ফের ব্যস্ততাও বাড়ছে।