ছাই ঝেড়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাগরি। শীঘ্রই শুরু হবে মার্কেটের পুনর্নির্মাণ করার কাজ। প্রয়োজনে ১০ তলা করা হবে বাজার ভবন। এবং তা যথাযথ অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং পুর বিধি মেনেই। বুধবার পুরসভার মাসিক অধিবেশনে এমনই জানালেন কলকাতা মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায়।
অধিবেশনে বাগরি মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের পর ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন, পুনর্নির্মাণ এবং পুরসভার অন্য বাজারগুলির নিরাপত্তার কথা উঠলে মেয়র বলেন, “আইআইটি খড়্গপুর ও রুরকির একটি প্রতিনিধি দল এবং পুর-আধিকারিকরা বাজারটি ঘুরে সমীক্ষা করছেন। সেই রিপোর্ট জমা পড়লে তা পর্যালোচনা করে দেখা হবে। বিচার করে দেখা হবে, বাজারের কোন অংশ রাখা যাবে, কোন অংশ ভেঙে ফেলতে হবে। তার পর নতুন করে তৈরি করা হবে বাগরি মার্কেট”। বাজারের মালিক, ব্যবসায়ীরা না পারলে, রাজ্য সরকার ও পুরসভার সহযোগিতায় তৈরি করা হবে ১০ তলা মার্কেট। অবশ্যই দমকলের ছাড়পত্র ও পুর বিধি মেনেই তা করতে হবে।
শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি বাজারগুলিকেও পুর বিধি মানতে হবে। এমনই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। উপযুক্ত অগ্নি সুরক্ষা ব্যবস্থা, ছাদে বড় জলের ট্যাঙ্ক, সুরক্ষিত ইলেকট্রিক ওয়্যারিং থাকতে হবে এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাজারে দখলদারি চলবে না। বাজারের পথ, দোকানের সামনে কোনওরকম দখলদারি করা যাবে না। অনুমতি ছাড়া বাজারের ভেতরে আগুন জ্বালানো যাবে না। আর রাতে বাজারে থাকার ক্ষেত্রেও পুরসভার অনুমতি জরুরি।
মেয়র আরও বলেন, ‘সেদিন বাগরি মার্কেটের আগুন থেকে ৮২১টি দোকান বাঁচানো গেছে। হাজারের বেশি দোকান ছিলো। কলকাতা পুলিশ, দমকল, পুরসভার সহযোগিতায় বাজারের চার ভাগের মধ্যে তিন ভাগ জিনিস বার করে আনা সম্ভব হয়েছে।’ বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের পর কেটে গেছে প্রায় ৩ সপ্তাহ। এই অগ্নিকান্ডে সব পুড়েছে, কিন্তু শেষ করতে পারেনি বাঁচার লড়াই। এবার প্রশাসনের উপর আস্থা রেখেই ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে বাগরির ব্যবসায়ীরা।