চর্মশিল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়ে চীনা চর্ম ব্যবসায়ীদের এক প্রতিনিধি দল নবান্নে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করে। তারপর সেখান থেকে শিল্প দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বানতলা চর্মনগরী পরিদর্শনে আসেন তাঁরা। চর্মনগরীর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ছাড়াও তাঁরা বেশ কয়েকটি কারখানা পরিদর্শন করেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ট্যানারি সংগঠনের সিইও আবদুল মতিন, সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমেদ খান, শিল্পপতি জিয়া নাফিজ প্রমুখ। কিছুদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের কানপুর থেকে একদল প্রতিনিধি এসেছিলেন বানতলা শিল্পতালুকে বিনিয়োগের ব্যাপারে কথা বলতে।
আর এবার চীন থেকে প্রতিনিধি দল আসায় বড়সড় লগ্নির ব্যাপারে আশাবাদী চর্ম শিল্পপতিরা। এক চীনা শিল্পপতি বলেন, এখানকার কাজের পরিবেশ, পরিকাঠামো দেখে ভালো লাগলো। আমরা এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। কবে কীভাবে আমরা এগোবে সেটা সরকারকে জানিয়ে দেব। শিল্পপতি তথা ট্যানারি মালিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমেদ খান বলেন, “কিছুদিন আগেই কানপুরের চর্মশিল্পপতিরা এখানে বিনিয়োগের ব্যাপারে কথা দিয়ে গেছেন। আর এবার চিনের প্রতিনিধিরা আসায় বড়সড় বিনিয়োগের সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হলো। রাজ্য সরকারের সক্রিয় সহযোগিতায় রুগ্ন চর্মশিল্প যে ভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তাতে আমরা অভিভূত। চর্মনগরী সূত্রে খবর, বানতলায় নতুন চামড়ার কারখানা এবং এই রাজ্য থেকে চর্মজাত দ্রব্য আমদানির জন্য বরাবরই বিশেষ আগ্রহ দেখিয়ে আসে চীনা ব্যবসায়ীরা। এজন্য কিছুদিন আগেই এশিয়ার বৃহত্তম চর্মনগরী বানতলার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি লেখেন চীনের চামড়া শিল্পপতিরা। রাজ্যের থেকে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয় কলকাতায় আশার জন্য।
সেইমতো এদিন তিনজন মহিলা শিল্পপতি সহ পাঁচজন চর্ম ব্যবসায়ী নবান্নে শিল্প দফতরের সচিবের ঘরে বৈঠক করেন। বৈঠক সন্তোষজনক হওয়ার পর তাঁরা বানতলা চর্মনগরী পরিদর্শনে আগ্রহী হন। দফতরের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের এক আধিকারিক প্রতিনিধিদলকে বানতলায় নিয়ে আসেন। রাজ্য সরকারের পক্ষে চর্মনগরীর পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে সে কথাও বলেন রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা। এরপর তাঁরা লেদার গ্লাভস তৈরির কারখানা ঘুরে দেখেন। এখানকার শ্রমিক খরচ, ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ, জলের উষ্ণতা, বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রভৃতি ব্যাপারেও খোঁজ নেন চীনা শিল্পপতিরা।