অবশেষে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হল বাগড়ির দুই মালিক-সহ বাগরি এস্টেটের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও)-এর বিরুদ্ধে। এই তিনজন হলেন রাধা বাগরি, বরুণরাজ বাগরি এবং সিইও কৃষ্ণকুমার কোঠারি। এঁদের তিনজনের নামেই জারি হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। এঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বড়বাজার থানায়। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে বুধবার এঁদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। ব্যাঙ্কশাল কোর্টের অতিরিক্ত মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনদীপ দাশগুপ্ত এই তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৩১ অক্টোবর। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ ১২০বি, ৪৩৬, ১১সি, ১১জে এবং ১১এল-পশ্চিমবঙ্গ ফায়ার সার্ভিস আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে দমকলের তরফে পুলিশের কাছে এই তিনজনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাতে এই তিনজনের নামে গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়েছে। দমকলের তরফে আগুন নেভানোর ব্যবস্থায় ইচ্ছাকৃত গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়েছে। আগুন লাগানোর ষড়যন্ত্র, ধ্বংসের জন্য দাহ্যপদার্থ বা বিস্ফোরক রাখা, রক্ষণাবেক্ষণ না করা-সহ দমকল আইনে একাধিক অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পরেই এই তিনজনকে ধরতে তৎপর হয় পুলিশ। কিন্তু তারপর থেকেই সকলে বেপাত্তা। পুলিশ সূত্রে খবর, রাধা বাগরিদের ৮১ নম্বর বালিগঞ্জ প্লেসের বাড়ি এবং অফিসে যাওয়া হলেও তাঁদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এর পাশাপাশি ৩৪ নম্বর মুক্তারামবাবু স্ট্রিটে বাগরি মার্কেটের অন্যতম শেয়ারহোল্ডার গৌরীদেবী বাগরির যে ঠিকানা ছিল সেটিও ভুয়ো। বুধবার সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, এই বাড়িতে এই নামে কেউ থাকে না। বাড়িটিতে বসবাসকারী একজন বাঙালি জানিয়েছেন, এই নামে তিনি কাউকে ভাড়া দেননি। কেন এই ঠিকানাটি গৌরীদেবী বাগরি দিয়েছিলেন সেটি নিয়েও তৈরি হয়েছে রহস্য। পুলিশের অনুমান, বিপদের আঁচ পেয়েই পালিয়ে গেছে এই তিন অভিযুক্ত। তাই এবার এই তিনজনের খোঁজে লুক আউট নোটিস জারির আবেদন করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের উপনগরপাল(মধ্য) শুভঙ্কর সিনহা সরকার বলেন, ‘তিনজনের খোঁজে ইতিমধ্যেই লুক আউট নোটিসের জন্য আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের তদন্তও চলছে।’