বিশালাকার ক্রেণ দিয়ে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে ব্রিজের ভেঙে পড়া অংশ। রাতের অন্ধকার, বৃষ্টি উপেক্ষা করে সারারাত ধরে চলেছে উদ্ধারকাজ। রাত জেগে ঘটনাস্থলে ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার-সহ প্রশাসনের একাধিক আধিকারিক। বুধবার সকালে নতুন উদ্যমে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে রাজ্যের কম্যাণ্ডো এবং বিপর্যয় বাহিনীর সদস্যরা।
ঘটনাস্থলের কাছেই সেনা হাসপাতাল। দুর্ঘটনার পর সেখান থেকে একটি দল গিয়ে উদ্ধার কাজে হাত লাগায়। সন্ধে নামলেও উদ্ধারকাজ থামেনি। কলকাতা পুলিশ, দমকল ও কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে আলোর ব্যবস্থা করা হয়। এরইমাঝে আবার বৃষ্টি নামে। প্রকৃতিক দূর্যোগ মাথায় নিয়েই চলতে থাকে উদ্ধারকাজ। এরই মাঝে, ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে আসে ফরেনসিক দল।
দূর্ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার আগে সাহায্য এবং উদ্ধারকাজের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও জখম মানুষদের পাশে দাড়িয়েছেন। বুধবার রাজ্যের সমস্ত সরকারি–বেসরকারি হাসপাতালে বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত আউটডোর বন্ধের ডাক দিয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম। কিন্তু মঙ্গলবার আচমকাই মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর মানবিকতার স্বার্থে আপাতত কর্মবিরতি তুলে নিয়েছেন তাঁরা। জানা গেছে, সন্ধ্যার মধ্যেই এসএসকেএম-এ ৮ জন এবং সিএমআরআই হাসপাতালে ৯ জন আহতের চিকিৎসা চলছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুর পৌনে পাঁচটায় ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট রেল ফ্লাইওভার। ব্রিজের ভাঙা অংশের সঙ্গে মাটিতে আছড়ে পড়ে বেশ কয়েকটি গাড়ি ও একটি বাস। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই ব্রিজের পাশেই চলছিল জোকা বিবাদি বাগ মেট্রোর কাজ। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, সেই খোঁড়াখুঁড়িতেই মাটি আলগা হয়ে ব্রিজ ভেঙে পড়েছে।