মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভায় বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ রাজ্যে এনআরসি চালু করতে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, প্রতিবাদ করলেই সিবিআই-ইডি লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দলের কর্মীদের উদ্দেশে মমতার বার্তা, টাকার কাছে আত্মসমর্পণ করবেন না। কাজ করলে লবি করারও দরকার হয় না। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ছাত্র সংগঠনের নতুন কমিটি গঠন করা হবে বলেও এদিন জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার সকালেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে একটি টুইট করেছিলেন মমতা। টুইট বার্তায় লেখেন, ‘আজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। ছাত্র-যুবরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তারাই সমাজ গড়বে। আমার রাজনৈতিক জীবনও শুরু হয় ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে। আগামী দিনের নেতাও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে থেকেই উঠে আসবে। সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা’। মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভায় মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মেয়ো রোড থেকে ছাত্র-যুবদের উদ্দেশ্যে একাধিক বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি সিপিএম এবং বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। খুনোখুনির রাজনীতি বরদাস্ত হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘দেশে কালিদাস না থাকলেও, বহু হরিদাস জন্ম নিয়েছে। তাঁরাই ঠিক করছেন কার কী করা উচিৎ, এটা বরদাস্ত করা হবে না’।টাকার কাছে আত্মসমর্পণ না করে ছাত্র সমাজকে হৃদয় দিয়ে কাজ করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘ওদের টাকা আছে, আমাদের টাকা নেই। আমাদের হৃদয় আছে। আমাদের ডেডিকেশন আছে’।
ধর্ম নিয়ে বিজেপি হানাহানি করছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘এক জঘন্যতম জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে আমাদের দেশ। কলকাঠি নাড়ছে বিরোধী দল। সারা দেশে অঘোষিত জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে। আগামীর হাল ধরুক ছাত্র-যুবরা। ওরাই ভবিষ্যৎ, ওদের দায়িত্ব অনেক’। এরপরেই মঞ্চ থেকে স্লোগান তোলেন, ২০১৯, বিজেপি ফিনিশ’।
সভা মঞ্চ থেকে মমতা দাবি করেন, ‘জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত রাজ্য সরকার একাধিক প্রকল্প রেখেছে। মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে’। বলেন, ‘বাংলার জন্য লড়ব, বাংলাকে গড়ব। বাংলার চোখ দিয়েই সারা বিশ্বকে দেখাব’। ছাত্রছাত্রীদের কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে কাজ করার জন্য উদ্যোগী হওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশ শেষ করেন মুখ্যমন্ত্রী।