আবার কাগজে প্রত্যাবর্তনের দাবিতে সরব বিরোধীরা। নির্বাচন কমিশনের কাছে ইভিএমের পরিবর্তে কাগজের ব্যালট ফিরিয়ে আনার দাবি জানাল তারা। নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে আলোচনা করতে দেশের সাতটি জাতীয় রাজনৈতিক দল এবং রাজ্যস্তরের ৫১ টি মান্যতাপ্রাপ্ত দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে ডেকেছিল নির্বাচন কমিশন। সেখানেই বিরোধীরা তো বটেই, এনডিএ শরিক শিবসেনাও ইভিএম ছেড়ে ব্যালট পেপারে ফিরে আসার দাবি জানিয়েছে।
এদিনের বৈঠকে ইভিএম-সহ, নির্বাচনী খরচের সীমা নির্ধারণ, স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া, ‘এক দেশ এক ভোট’-এর মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়।
জানা গেছে, ব্যালট ছাড়াও ‘এক দেশ এক ভোট’ প্রশ্নে শাসক শিবিরের সঙ্গে মতান্তর ঘটে বিরোধীদের। নরেন্দ্র মোদী এই নিয়ে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে সরব হলেও, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও পি রাওয়ত জানান, ‘বৈঠকে বেশ কিছু দল লোকসভা ও বিধানসভার ভোট একসঙ্গে করার বিরোধিতা করেছে’। আর ব্যালট ফেরানোর প্রশ্নে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘এতে ফের বুথ দখলের আশঙ্কা ও উৎসাহ বাড়বে’।
বৈঠকে বিজেপি-সহ হাতে গোনা তিন-চারটি দল ছাড়া প্রায় সব রাজনৈতিক দলই ইভিএমে সমস্যার কথা তুলে ধরেন। কারচুপি নিয়ে সরব হন। তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি বা বিএসপির মতো বিরোধী দলের পাশাপাশি শিবসেনা এমনকি কংগ্রেসও ব্যালটে ভোটের পক্ষে। তবে কংগ্রেস জানিয়েছে, একান্তই ব্যালট ব্যবস্থায় ফেরা না গেলে প্রতি কেন্দ্রে অন্তত ৩০ শতাংশ বুথে ভিভিপ্যাট যন্ত্র বসানো হোক। তাতে ভোটারও কাগজে দেখতে পাবেন, তাঁর ভোট কার ঘরে পড়েছে। ভিভিপ্যাট বসাতে রাজি হলেও, কমিশন জানিয়েছে, ব্যালটে ফেরা সম্ভব নয়।
নির্বাচন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ এবং বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে কয়েকটি রাজনৈতিক দল কিছু প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ওপি রাওয়াত। বৈঠকে রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী খরচের সীমা নির্ধারণের দাবি কমিশন আইনি পথে বিচার করে দেখবে বলে জানা গিয়েছে।