বছরে দু’কোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকার গড়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধামন্ত্রী হওয়ার পর সংসদে এক কোটি চাকরির হিসেব দিতে গিয়ে কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডের গ্রাহকদের সংখ্যা পেশ করেছিলেন তিনি। যুক্তি দিয়েছিলেন, প্রভিডেন্ট ফান্ডে গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ছে মানেই নতুন চাকরি হচ্ছে। এ বার প্রভিডেন্ট ফান্ড সংস্থা হিসেব শুধরে গ্রাহক সংখ্যা ৫.৫৪ লক্ষ কমিয়ে দিল। গত সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের মে মাসে নতুন গ্রাহক সংখ্যা ৪৪.৭ লক্ষ থেকে কমে ৩৯.২ লক্ষে দাঁড়াল।
ঘটনা দেখে কংগ্রেসের মণীশ তিওয়ারির কটাক্ষ, ‘তা হলে তো প্রধানমন্ত্রীর চাকরির হিসেবও সাড়ে পাঁচ লক্ষ কমে গেল!’
মোদী সরকার পাল্টে ফেলেছে জিডিপি মাপার পদ্ধতি। নতুন পদ্ধতিতে ভারত আর্থিক বৃদ্ধির হারে বিশ্বসেরা হয়েছে।তারপরেই গত সপ্তাহে মনমোহন-সরকারের আর্থিক বৃদ্ধির হার মোদী জমানার থেকে বেশি ছিল বলে একটি রিপোর্ট ফাঁস হয়ে যায়। শেষে সেই রিপোর্ট সরিয়ে ফেলা হল পরিসংখ্যান মন্ত্রকের ওয়েবসাইট থেকে।
বিরোধিদের অভিযোগ, ‘সরকারের লক্ষ্য, হয় পরিসংখ্যানে কারচুপি নয়তো লুকিয়ে ফেলা। যেমন, জিডিপি-র তথ্য লুকিয়ে ফেলা হল’।
সরকারের যুক্তি, ওই তথ্য চূড়ান্ত নয়। গত কাল প্রথমে ওয়েবসাইটেই রিপোর্টের ঠিকানা বদলে দেওয়া হয়। এই রিপোর্টের কোনও তথ্য উদ্ধৃত করা যাবে না জানিয়ে সতর্কীকরণ বার্তা যোগ হয়। তার পরেও স্বস্তি না মেলায়, এ বার রিপোর্টটাই তুলে নেওয়া হল। মোদী সরকারের এক মন্ত্রীর যুক্তি, ‘এমনিতেই রিপোর্ট চূড়ান্ত নয়। তাঁরওপর অকারণ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তাই সরিয়ে দেওয়া হল’।