৭৫ মিলিয়ন ইউরোতে এবারই এএস রোমা থেকে ব্রাজিলিয়ান গোলকিপারকে নিয়ে গেছে লিভারপুল। সে রেকর্ড ভেঙে যাচ্ছে তিন সপ্তাহের মধ্যেই! স্প্যানিশ কেপা আরিজাবালাহা লা লিগার সেরা গোলকিপার নন। তবে অ্যাথলেটিক বিলবাওর এই তরুণ গোলরক্ষকের জন্য ৮০ মিলিয়ন ইউরো দিতে রাজি হচ্ছে চেলসি।বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া দলে থাকার পরও।
গোলকিপারদের বিশ্ব রেকর্ডটা ১৭ বছর ধরে দখলে ছিল জিয়ানলুইজি বুফনের। ২০০১ সালে পারমা থেকে জুভেন্টাসে যোগদানের সময় বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন ইতালিয়ান কিংবদন্তি। সে রেকর্ড এবারই ভেঙে দিয়েছেন আলিসন বেকার। ৭৫ মিলিয়ন ইউরোতে এবারই এএস রোমা থেকে ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষককে নিয়ে গেছে লিভারপুল। সে রেকর্ড ভেঙে যাচ্ছে তিন সপ্তাহের মধ্যেই!
চেলসির এমন সিদ্ধান্তে ভূমিকা রেখেছেন কোর্তোয়া নিজে। বিশ্বকাপের আগে থেকেই বেলজিয়ান গোলকিপার রিয়াল মাদ্রিদে যাবেন বলে গুঞ্জন শোনা গেছে। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর সে গুঞ্জন হয়েছে আরও জোরালো। এ নিয়ে সব সন্দেহ দুদিন আগে দূর করে দিয়েছেন তাঁর এজেন্ট। সরাসরি বলে দিয়েছেন, মানবিক কারণে হলেও কোর্তোয়াকে চেলসির ছেড়ে দেওয়া উচিত। এরপর টানা দু’দিন চেলসির সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দেননি। কোর্তোয়াকে ছেড়ে দিতেই হবে এ বাস্তবতা মেনে নিয়েছে চেলসি। এ কারণেই কেপার রিলিজ ক্লজের পুরো অঙ্কটা দিয়ে হলেও দলে টানতে চাইছে তারা।
২০০১ সালে সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়ে ৫২ মিলিয়ন ইউরোতে বুফনকে দলে টেনেছিল জুভেন্টাস। অঙ্কটা একজন গোলরক্ষকের জন্য যে কত বড়, সেটা বোঝা গেছে পরের বছরগুলোতে। দলবদলের বাজারে যখন নিত্যনতুন রেকর্ড হয়েছে, সেখানে কোনো গোলরক্ষকের জন্যই এ পরিমাণ অর্থ খরচ করেনি কেউ। সে রেকর্ড আলিসন ভেঙে দিয়েছিলেন ২৩ মিলিয়ন ইউরোর ব্যবধানে। কিন্তু জুলাইয়ের শেষভাগের সে রেকর্ড কেপার দখলে চলে যাচ্ছে এবার।
স্পেনের জার্সিতে মাত্র এক ম্যাচ খেলা কেপা এই জানুয়ারিতেই বিলবাও ছাড়তে পারতেন। মাত্র ২০ মিলিয়ন ইউরোতে রিয়ালে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু জিনেদিন জিদানের অনিচ্ছার কারণে রিয়ালে শেষ পর্যন্ত যেতে পারেননি কেপা। এরপরই নতুন চুক্তিতে রিলিজ ক্লজ ২০ থেকে ৮০ মিলিয়ন করেছিল বিলবাও।