কলাইনারের ইচ্ছেপূরণে উদ্যোগী হয়েছিলেন খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
করুণানিধিকে কোথায় সমাধিস্থ করা হবে, তা নিয়ে বিতর্ক চলছিল মঙ্গলবার রাত থেকেই। বুধবার সকালে রায় দেয় মাদ্রাজ হাইকোর্ট। অবশেষে মেরিনা বিচেই সমাধিস্থ করার অনুমতি পায় ডিএমকে। রাতভর এই নিয়ে চলে জল্পনা। একাধিক দল ডিএমকে-র পাশে দাঁড়ায় এই ইস্যুতে।
মঙ্গলবার রাতেই চেন্নাই পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও এই ইস্যুতে ডিএমকে-র পক্ষে লড়াই করেন। বুধবার সকালে তিনি জানিয়েছেন, মেরিনা বিচে সমাধিস্থ করার আবেদন জানিয়ে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন।
তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে কোনও সাড়া পাননি তিনি। এমনকি প্রধানমন্ত্রীকে নরেন্দ্র মোদীকেও এই আবেদন জানিয়েছেন ব্যক্তিগতভাবে ফোন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শেষকৃত্যর অনুষ্ঠান ঘিরে বিতর্ক শুরু হয় মঙ্গলবার রাতেই। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, দেশের অন্যতম রাজনেতার মৃত্যু দুঃখজনক। বড় নেতার মৃত্যুতে সমাধিস্থল নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। এই ইস্যুতে ডিএমকে-র পাশে দাঁড়ায় সব দল।
ডিএমকের তরফে মেরিনাবিচেই দলের সভাপতির মরদেহ সমাধিস্থ করতে চাওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু তামিলনাড়ুর এআইডিএমকে সরকার সেই অনুরোধ ফিরিয়ে দেয়৷ তারা জানায়, আইনি জটিলতায় সেখানে জায়গা দেওয়া যাবে না৷ রাতেই আদালতের দ্বারস্থ হন ডিএমকে সমর্থকেরা।
মাদ্রাজ হাইকোর্টের এই রায়ে ডিএমকে সমর্থকদের মতো খুশি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷ তিনি বলেন, ‘করুণানিধির মতো কিংবদন্তী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মৃত্যু তামিল রাজনীতির পক্ষে বড় ক্ষতি ৷ ডিএমকে সুপ্রিমোকে মেরিনা বিচে সমাধিস্থ করার আবেদনে সম্মতি দেওয়ায় মাদ্রাজ হাইকোর্টের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ ৷ তামিলনাড়ু সরকারের আগেই এই বিষয়ে অনুমতি দেওয়া উচিত ছিল ৷’
করুণানিধির প্রয়াণের পর শোকজ্ঞাপন করতে সবার আগে চেন্নাইয়ে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেরিনা বিচে প্রিয় নেতার শেষকৃত্য বিতর্কের মাঝেই তিনি হয়েই উঠলেন ভরসার জায়গা। তাঁকে ঘিরেই আর্তি কলাইনারের শোকবিহ্বল জনতার। দক্ষিণের রাজ্যে যেন তিনি নয়া আম্মা।