বার্সেলোনার জার্সি গায়ে চাপিয়েই নিজের ইচ্ছের কথা জানিয়ে দিয়েছেন আর্তুরো ভিদাল। জুভেন্টাস ও বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে লিগ শিরোপা জয়ের স্বাদে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া চিলিয়ান এই মিডফিল্ডার এবার স্প্যানিশ লিগে নিজ দলের রাজত্ব দেখতে চান। সে সঙ্গে চান ইউরোপ সেরার মেডেলটাও গলায় নিতে।
এবারের দলবদলে বার্সেলোনা বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। একের পর এক খেলোয়াড় কিনে দলের রক্ষণ ও মধ্যভাগ সাজিয়ে নিচ্ছে কাতালানরা। ভিদাল তাদের নব্যতম সংযুক্তি। জুভেন্টাস ও বায়ার্নের হয়ে দুর্দান্ত কিছু মরসুম কাটানো ভিদালকে মাত্র ১৮ মিলিয়ন ইউরোতে টেনে নিয়েছে দলে। তিন বছরের চুক্তিতে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছেন একদিন আগে। আর আজ নতুন ক্লাবে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো। বার্সেলোনায় যোগ দিয়েই জানিয়ে দিয়েছেন সম্ভাব্য সব শিরোপা জিততে চান।
ইউরোপিয়ান ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তি বায়ার্ন মিউনিখে খেলেছেন। তবু বার্সেলোনার মতো ক্লাবে খেলার সুযোগ পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত। ৩১ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের মুখেই শুনুন এর কারণ, ‘বায়ার্ন মিউনিখের চেয়েও বড় ধাপ এটি। আশা করি দলকে সব শিরোপা জিততে আমি অবদান রাখতে পারব। সবার প্রত্যাশাকে টপকে যাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্রস্তুত হচ্ছি।’
বার্সেলোনায় আসতে পেরে এই মিডফিল্ডার যে কত খুশি সেটা বোঝা গেছে এরপরই, ‘খুবই খুশি, বার্সেলোনায় আসতে পেরে আমি খুবই খুশি। আমার কাছে, এটাই বিশ্বের সেরা ক্লাব। অনেক গুরুত্বপূর্ণ শিরোপা জিততে মুখিয়ে আছি। আশা করি আগামী তিন বছর সবই জিতব।’
গত কয়েক বছর ধরেই রিয়াল মাদ্রিদ নিয়ে নিজের বিতৃষ্ণার কথা শুনিয়েছেন ভিদাল। এবার তো রিয়ালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ক্লাবেই যুক্ত হয়েছেন। এ দলবদল দিয়ে কি নিজেকে মাদ্রিদ বিরোধী হিসেবেই পরিচিত করছেন ভিদাল? উত্তরে ভিন্ন কিছু শুনিয়েছেন দুবারের কোপা আমেরিকা জয়ী, ‘না, আমি এখন থেকে বার্সেলোনার বিপক্ষে যারা খেলে তাদেরই প্রতিপক্ষ। আমার কোনো প্রতিপক্ষ নেই। যারা বার্সেলোনার মুখোমুখি হবে, তারাই আমার প্রতিপক্ষ। আমি জানি না, মাদ্রিদের বিরুদ্ধে আমার আলাদা কোনো হিসাব আছে কি না। আমার লক্ষ্য হলো চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা, আশা করি এখানে সেটা জিততে পারব। আর মাদ্রিদের ব্যাপারটা, যখন মুখোমুখি হব তখনই দেখা যাবে।’