বিজেপি বিরোধী জোটের ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১:১ ফর্মুলাই যে পথ তা এখন প্রতিষ্ঠিত।
এবার সেই জোটের প্রধানমন্ত্রী বিষয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া।
কেন্দ্রে বিজেপি বিরোধী সরকার গড়ার লক্ষ্যে ভোটের আগেই বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন এইচ ডি দেবেগৌড়া। জেডি (এস) প্রধান তথা দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিটিআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওই পদের যোগ্য দাবিদার।
সম্প্রতি কংগ্রেস-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ে যেতে নারাজ। সেখানে অধিকাংশ দলই মনে করে, আগামী ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে জোটবদ্ধ ভাবে লড়াই করার পর জয় হাসিল করার পরই প্রধানমন্ত্রী পদে কে বসবেন, তা বিচার করা হবে। এ বিষয়ে কংগ্রেস-সহ বাম দলগুলি খোলাখুলি তাদের মত ব্যক্ত করেছে। একই কথা বলেছেন তৃণমূলনেত্রী স্বয়ং মমতাও। এমন পরিস্থিতিতে দেবেগৌড়ার এই বক্তব্য বেশ ইঙ্গিতবাহী। তিনি বলেন, তৃতীয় ফ্রন্টের সংগঠনে মমতা প্রথম থেকেই উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি তাঁর সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।
সাম্প্রতিক জাতীয় রাজনীতির কথা উল্লেখ করে দেবেগৌড়া বলেন, অসমে ত্রুটিপূর্ণ নাগরিকপঞ্জি প্রকাশের বিরোধিতা করে মমতা যে ভাবে সরব হয়েছেন এবং পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা অন্য কারও কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। এই কর্মসূচিতে অন্যান্য বিজেপি বিরোধী দলগুলিরও প্রয়োজন তাঁর পাশে দাঁড়ানোর।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে মমতাকে স্বাগত জানানোই বুদ্ধিমানের কাজ। দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ইন্দিরা গান্ধী ১৭ বছর দেশ চালিয়েছেন। আমরাই (পুরুষরা) শুধু প্রধানমন্ত্রী হতে পারি? তা হলে মমতা মায়াবতী কেন প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না”?
দেবেগৌড়ার এই সাক্ষাৎকারে আবারও প্রমাণিত হলো মমতাই বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ের সবথেকে গ্রহণযোগ্য মুখ।