যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে কর্মসমিতি যা সিদ্ধান্ত নেবে, তাই চূড়ান্ত। কর্ম সমিতির বৈঠক মানতে বাধ্য এগজিকিউটিভ কাউন্সিল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বিতর্কে অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। একই সঙ্গে তাঁর নির্দেশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে প্রয়োজনে উপাচার্য হস্তক্ষেপ করতে পারেন। কিন্তু, আইন মেনেই সেই হস্তক্ষেপ করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা রদ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন যাদবপুরের পড়ুয়াদের একাংশ। সোমবার রাজ্যপাল তথা আচার্যের নির্দেশের পর মঙ্গলবার জরুরি ভিত্তিতে কর্মসমিতির বৈঠক ডেকেছেন উপাচার্য। সেই বৈঠকেই প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কলা বিভাগে স্নাতকস্তরে যাদবপুরে প্রবেশিকা পরীক্ষা ইস্যুতে অচলাবস্থা চলছে গত কয়েকদিন ধরেই। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল তথা আচার্যের সঙ্গে দেখা করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। পরে তিনি জানান, “অগণতান্ত্রিক চাপে কাজ করা যাচ্ছে না।”
তারপর শুক্রবার উপাচার্য সুরঞ্জন দাস ফের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। সূত্রের খবর, রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। তখন উপাচার্যের কাছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠান তিনি।
আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠকের পর ভর্তি বিতর্কে কী সিদ্ধান্ত হয় সেদিকেই নজর সবার।