যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যেন মিনি হাসপাতাল। অরবিন্দ ভবনের সামনে শুয়ে রয়েছে পড়ুয়ার দল। প্রায় পাঁচদিনের অনশনে তাদের শরীর ভগ্নপ্রায়। আন্দোলনকারীদের শরীরের কথা মাথায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই হাজির চিকিৎসকরা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কারা এরা? আদৌ চিকিৎসক তো? নাকি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে চলছে সাদা অ্যাপ্রন পড়ে চলছে ‘ডক্টর ফেস্ট’?
তবে ভালো করে খোঁজ খবর নিতেই রহস্যের উন্মোচন হল। এরা আসলে ‘পিপলস রিলিফ কমিটি’র সদস্য। এই সংস্থা আসলে বামপন্থী প্রভাবিত একটি চিকিৎসক সংস্থা। পুরো যেন নাটকের রঙ্গমঞ্চ। প্রথমে ভর্তির জন্য প্রবেশিকার দাবিতে অনশন।তারপর নিজেদের সংগঠনের চিকিৎসকদের নিয়ে সেখানে শুরু আন্দোলনকারীদের দেখভাল। শুধু চিকিৎসকই নয়, রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্সও।
এইসব কাণ্ড দেখে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা কী আদৌ অনশন করছেন নাকি কেবলই নাটক? সন্ধ্যার পর থেকেই অরবিন্দ ভবন চলে যাচ্ছে পার্টি মুডে। গিটার হাতে আন্দোলনকারী ও অন্যরা ব্যস্ত মদ, গাঁজা খেতে। কিন্তু সকাল হলেই একেবারে অন্য ছবি। সংবাদমাধ্যমের ভিড় দেখলেই অনশনের নামে নাটক শুরু। আর সম্পূর্ণ বিষয়টিকে আড়াল করতেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আনা হয়েছে বাম প্রভাবিত চিকিৎসক সংগঠনকে।
সূত্রের খবর, আন্দোলনের গুরুত্ব বাড়াতেই এই কৌশল অনশনকারীদের। আর এর ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করেছেন সিপিএম নেতা ও ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তনী সুজন চক্রবর্তী। এই বিষয়টিকে দৃঢ় করেছে এসএফআই নেত্রী গীতশ্রী সরকারের ফেসবুক পোস্ট। সোশ্যাল মিডিয়ায় গীতশ্রী ‘ধন্যবাদ’ জানিয়েছেন ‘পিপলস রিলিফ কমিটি’কে।
সুতরাং, পড়ুয়াদের একাংশের আন্দোলনের পিছনে যে সিপিএমের বাইরে থেকে মদত রয়েছে তা আবারও পরিষ্কার। বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে আলিমুদ্দিনের ম্যানেজাররা কসুর করছেন না। সঙ্গে দোসর মাওবাদী ও নকশালরা। অযৌক্তিক দাবিতে ব্ল্যাকমেলের রাজনীতি চলছেই।