দুর্ঘটনা রুখতে সেতু, উড়ালপুলগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষারও নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ রাজ্যের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে সেতু, উড়ালপুল ৷ সেগুলির হাল জানতে জরুরি ভিত্তিতে রিপোর্ট তলব করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ৷ সেই মতো পূর্ত দপ্তরের প্রধান সচিব অর্ণব রায় প্রতিটি জোনের দায়িত্বপ্রান্ত চিফ ইঞ্জিনিয়ারদের অধীনস্থ সেতু ও উড়ালপুল পরিদর্শন করে ১৬ জুলাইয়ের মধ্যে তার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন৷
সেতু পরিদর্শনের পর কোথাও কোনও ফাটল অথবা ত্রুটি ধরা পড়লে জরুরি ভিত্তিতে মেরামতি করতে হবে৷ রিপোর্টে জানাতে হবে পরিদর্শনের তারিখ, ক্ষতির মাত্রা, দুর্ঘটনা ঠেকাতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে -র মতো বিষয়গুলো৷ সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেতু বা উড়ালপুল নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্তদের মতামত নিতে বলা হয়েছে।
বর্ষায় রাজ্যের বিভিন্ন নদী বাঁধ এবং সেচ বাঁধ ভেঙেও বিপত্তি ঘটে। দুর্ঘটনা রুখতে
সেগুলিরও পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ পৃথক ভাবে রিপোর্ট দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
গত ৫ জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে জারি করা নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে সেতু ও উড়ালপুল সরজমিন দেখে রিপোর্ট পেশ করতে হবে মুখ্যসচিবের দপ্তরে৷ নির্দেশ পালনে জোর কদমে কাজে নেমেছেন পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা৷ পূর্ত দপ্তর ছাড়াও কেএমডিএ, কলকাতা পুরসভার অধীন বেশ কয়েকটি সেতু ও উড়ালপুল আছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই দপ্তর ও সংস্থাগুলিও নতুন করে সেতু ও উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজে নেমেছে৷
বিবেকানন্দ উড়ালপুল দুর্ঘটনার পর রাজ্যের সেতু ও উড়ালপুলগুলির আবস্থা নিয়ে একটি সমীক্ষা হয়৷ সমীক্ষা রিপোর্টে প্রকাশ, রাজ্যে অবস্থিত ২৩১টি সেতুর মধ্যে ৬৬টি নতুন করে নির্মাণ করা দরকার৷ ৩০টির অবস্থা তো খুবই খারাপ৷ ৮৫টি সেতুর ক্ষয়ক্ষতি মাঝারি আকারের৷ বাকি ১১৬টির সামান্য মেরামতি প্রয়োজন।
পূর্ত দপ্তরের এক ইঞ্জিনিয়ারের ব্যাখ্যা, কোনও সেতুর ভার বহন ক্ষমতা কতটা, সেটির বিচারেই মান যাচাই হয়৷ অধিকাংশ পুরোনো সেতু ও উড়ালপুলের হাল খুব একটা ভালো নয়৷ তাই নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং নজরদারি প্রয়োজন৷ না হলে যে কোনও সময় বিপদ ঘটতে পারে৷ বিশেষ করে বর্ষার সময় টানা বৃষ্টিতে মাটি আলগা হয়ে সেতু বসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
রাজ্যের কোষাগারে আর্থিক টান৷ তাও দুর্ঘটনা এড়াতে রাজ্যে অবস্থিত বেহাল সেতুগুলির সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷