সিপিএমের সর্বনাশ, তৃণমূল দেখছে পৌষমাস।
ফেসবুক প্রোফাইলে সংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানালেন জলপাইগুড়ির যুব তৃণমূল নেতা বুবাই কর।
শুক্রবারই রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদিবাসী উন্নয়ন কোর কমিটির চেয়ারপার্সন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সিপিএম মুক্ত হওয়ার পর বর্তমানে রাজ্যসভায় নির্দল সাংসদ হিসাবেই কাজ করছেন ঋতব্রত। প্রকাশ্যে কেউ কোনও কথা না বললেও তাঁর সম্পর্কে ‘অবস্থান’ বদল হয়েছে তৃণমূলের। আদিবাসী কোর কমিটির চেয়ারপার্সন হওয়ার ঘটনাতেই তা স্পষ্ট। এর পরেই শাসক দলের যুব নেতার ফেসবুকে ছবি দিয়ে ঋতব্রতকে স্বাগত জানানোর বিষয়টি তাৎপর্যবাহী।
একদিকে তৃণমূল যুব নেতৃত্ব যখন রাজ্যসভার নির্দল সাংসদকে স্বাগত জানাচ্ছে তখন দলের প্রক্তনীকে নিশানা করতে উঠে পড়ে লেগেছে সিপিএম। আলিমুদ্দীন সুত্রে খবর, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একটি তথ্য চিত্র মানুষকে দেখানো হবে। দলে থাকার সময় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কি বলেছিলেন তিনি তা দেখানো হবে। এখানেই প্রশ্ন, কেন হঠাৎ দল বিরোধী কাজের দোহাই দিয়ে বহিষ্কৃত এক সাংসদকে নিয়ে এত মাথা ব্যাথা সিপিএমের। তাহলে কি ঋতব্রত দলীয় নেতৃত্ব সম্পর্কে যা বলছেন, তা সত্য? সংগঠনে ব্যক্তির ভূমিকা মেনে নিচ্ছে ভারতীয় মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি?
এর আগে বিভিন্ন বিষয়ে, সিপিএমের নেতৃত্বের বিভ্রান্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন একদা এসএফআই’এর প্রধান ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। দলে গোষ্ঠীবাজির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন তিনি। দল ত্যাগের পরও এমন অনেক কথা তাঁর মুখ থেকে শোনা গিয়েছে যাতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে আলিমুদ্দীনের পক্ককেশধারী নেতাদের। দলের অন্ধকার দিকগুলি স্পষ্ট হচ্ছে মানুষের কাছে। দল ছাড়ছেন বহু নেতা কর্মী। সাম্প্রতিক সব ভোটের ফলাফলেই পরিস্কার লাল ব্রিগেডের রক্তক্ষরণ আব্যাহত। আন্দোলনের জন্য কর্মী, সমর্থক জোটাতেই হিমশিম খাচ্ছে সিপিএম। ৩৪ বছরের ক্ষমতাধারী দলের এহেন হালে জবাব নেই সিপিএমের এ কে গোপালন বা আলিমুদ্দীনের নেতাদের কাছে। তাই কী অস্তিত্ব রক্ষায় খড়কুটো ধরে বাঁচতে টার্গেট ঋতব্রত? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের।