মঙ্গলবার বিশ্বকাপের প্রথম সেমি- ফাইনালে মুখোমুখি ফ্রান্স ও বেলজিয়াম। ওই ম্যাচে ফরাসিদের কাছে থিয়রি অঁরি যেন ঘরের শত্রু বিভীষণ। কারণ গত দুই বছর ধরে বেলজিয়ামের সহকারী কোচের নাম অঁরি। ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল খেলেছেন অঁরি। আর্সেনালের অন্যতম সফল স্ট্রাইকারের নাম অঁরি। ফুটবল ছাড়ার পর তিনি আর্সেনালের কোচিং টিমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি ক্লাবের বিশেষ অনুমতি নিয়ে স্কাই স্পোর্টসে ফুটবল বিশেষজ্ঞ হিসাবেও কাজ করতেন। প্রায় দুই বছর তিনি এইভাবেই কোচিং ও ফুটবল বিশেষজ্ঞ হিসাবে কাজ করেছেন। কিন্তু স্কাই স্পোর্টসের মতো চ্যানেলে ইপিএলের ম্যাচ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি আর্সেন ওয়েঙ্গারের বিষনজরে পড়েন। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে তিনি আর্সেনালের অন্যতম সহকারী পদ থেকে ইস্তফা দেন। ২০১৬ সালে ইউরো কাপের পর বেলজিয়াম সহকারী কোচ হিসাবে অঁরিকে নিয়োগ করে।
বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে বেলজিয়াম সাইড বেঞ্চে মার্টিনেজের পাশে অঁরিকে দেখা গিয়েছে। মাঠেও আপফ্রন্টের ফুটবলারদের নিয়ে বিশেষ ট্রেনিং করিয়েছেন অঁরি। দেশের জার্সিতে ম্যাচের একটি পর্বে ইডেন হ্যাজার্ডকে একেবারে স্ট্রাইকারে নিয়ে যাওয়াটাও তাঁরই মস্তিস্কপ্রসূত। চ্যাডলি, লুকাকুরা তাঁর হাতে পড়ে আরও ক্ষুরধার। তাই অঁরি যেন মঙ্গলবার সেমি- ফাইনালে ঘরের শত্রু বিভীষণ। এবারের বিশ্বকাপে ফ্রান্স দলে অনেক গোল করার লোক। এমবাপে, জিরু, গ্রিজম্যানরা আছেন। এঁরা যখন সাব জুনিয়র স্তরে খেলছেন তখন অঁরি কিন্তু ফ্রান্সে বেশ জনপ্রিয়। ফ্রান্সের ছেলেদের খেলার ধরন ভালোভাবেই জানেন অঁরি। স্কাই স্পোর্টসে বিশেষজ্ঞ হিসাবে তাঁকে ইপিএল বেশ ভালোভাবেই পর্যবেক্ষণ করতে হয়। ফ্রান্স টিমের অধিকাংশ ফুটবলারই আবার খেলেন ইপিএলে। তাই অঁরি নিজের দেশের ফুটবলারদের সম্পর্কে বেশ ওয়াকিবহাল। দেখা যাক, ঘরের শত্রু বিভীষণের টিপসে ফ্রান্স মঙ্গলবার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে পারে কি না?