ওয়ার্ল্ড কাপে ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন অতীতে ২০ টি আসরের ১১টিতেই কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা পেরিয়েছে। সেখানে কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা মাত্র একবার ( ১৯৮৬) পেরিয়েছে বেলজিয়াম। এই অতীত থেকে টনিক নিয়েই কাজানে বেলজিয়ামের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। তবে ১৯৫৪, ১৯৮৬, ২০০৬ এবং ২০১০-এই চারটি আসরে কোয়ার্টার ফাইনাল ট্র্যাজেডীর কথাও মাথায় রাখতে হচ্ছে ব্রাজিলকে। এমন এক ম্যাচকে সামনে রেখে কাজানে ব্রাজিলের আগমনে হলুদ বরন হয়েছে।
দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের জন্য খেলতে পারবেন না এই ম্যাচে ক্যাসিমিরো। তার রিপ্লেশমেন্ট হিসেবে তৈরি থাকছেন ফের্নানদিনিয়ো-সংবাদ সম্মেলনে তা জানিয়ে দিয়েছেন ব্রাজিল কোচ। পাশাপাশি দু’টি সুখবর নিয়ে এসেছেন তিনি সোচি থেকে। ফিট ডগলাস কস্তা এবং মার্সেলোকে পাচ্ছেন তিনি-এটা কি কম আনন্দের খবর।
এমন একটি ম্যাচকে সামনে রেখে ব্রাজিল কোচ তিতে জানিয়েছেন -‘ প্রথম ম্যাচের কথা বাদ দিলে আমি অন্য ম্যাচগুলোতে কিছুটা হলেও রিলাক্সড আছি।’ বেলজিয়ামের বিপক্ষে ম্যাচটিকে ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন ব্রাজিল ফুটবল দলের প্রফেসর তিতে -‘ ম্যাচ অনুযায়ী খেলার ছক তৈরি করা হয়। ছেলেদের বলেছি মাঠে তোমরা যেভাবে অনুশীলন করেছ, মাঠে তেমন খেলাটাই দেখতে চাই। প্রথম থেকে ম্যাচে কর্তৃত্ব নিয়ে খেলতে বলেছি। ’
নক আউট পর্বে পেনাল্টি শুট আউটে ফলাফল নির্ধারিত হতে পারে, তা মাথায় রেখে পেনাল্টি শটের প্র্যাকটিসও করিয়েছেন তিনি-‘ পেনাল্টি শট নেয়াটা আসলেই ফুটবলারদের জন্য সহজ নয়। আমরা এই প্র্যাকটিসটা করে এসেছি। বিষয়টা অবশ্যই টেকটিক্যাল। ছেলেদের বলেছি এই সময়টাতে আবেগ নিয়ন্ত্রনে রাখতে।’
বেলজিয়ামের বর্তমান দলটা এক সঙ্গে তিন চার বছর ধরে খেলছে বলে তাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা দারুন। তবে তাদের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি ব্রাজিল সম্প্রতি। তাই তাদের সবার সম্পর্কে তেমন ধারনা না থাকাই স্বাভাবিক। তবে বেলজিয়ামের অধিকাংশ ফুটবলার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলে বলেই ব্রাজিলের চেলসি খেলোয়াড় উইলিয়ানের কাছ থেকে বেলজিয়াম ফুটবলারদের সম্পর্কে নিয়েছেন ধারনা।
এই ওয়ার্ল্ড কাপে বেলজিয়ামের খেলা সবাইকে আকৃষ্ঠ করছে বলে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল অধিনায়ক মিরান্ডা সতর্ক-‘ বেলজিয়াম দলে শুধু লুকাকু একাই নয়, আছে আরো বেশ ক’জন তারকা। তাদের খেলোয়াড়দের স্কিলও যথেস্ট ভাল। তাদের টেকনিকও দারুন। তারা অনেক বড় প্রতিপক্ষ বলে ধরে নিচ্ছি আমরা। তাই আমাদের ডিফেন্ডারা সতর্ক থাকবে।’
বেলজিয়ামের দীর্ঘদেহী ফেলাইনি যে কোন সময়ে ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন। গোলপোস্টের সামনে তার হেড বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাকে থামানোর প্রস্তুতিও নাকি নিয়ে এসেছে ব্রাজিল ফুটবল দল। এমনটাও জানিয়েছেন ব্রাজিল অধিনায়ক মিরান্ডা-‘ ফেলাইনি সেরা ফর্মে আছে। সে লম্বা বলে উঁচু বলে ভয়ংকর হতে পারে। তা জানি। সেই প্র্যাকটিসটা করেছি।’ থিয়াগো সিলভার সঙ্গে মিরান্ডার জুটি এক দশকের। তাদের মধ্যে বোঝাপড়াটাও দারুন। এই জুটিই বেলজিয়ামের আক্রমন সামলানোর দায়িত্ব নেবেন বলে জানিয়েছেন মিরান্ডা।