জাঁতি এবং পানেরবাটা একসময় সবার ঘরে ঘরে দেখা যেত। তবে এখন কালের নিয়মে বাড়িতে পান খাওয়ার চল প্রায় উঠে গেছে বললেই চলে।
একসময় রেডিও ছিল দেশ বিদেশের খবর থেকে বিনোদনের একমাত্র মাধ্যেম। টেকনোলজির যুগে এই রেডিও এখন প্রায় অকেজো।
বাঙালির আর তালপাতার পাখা এই দুইয়ের মেলবন্ধন কখনও ভোলার নয়। লোডশেডিং হোক কিংবা প্রচণ্ড গরম তালপাতার পাখায় দিত স্বস্তির বাতাস। বর্তমানে তাল পাতার পাখার বদলে জায়গা করে নিয়েছে প্লাস্টিকের হাত পাখা। হাতে গোনা কিছু দোকান ছাড়া এখন এসব তাল পাতার পাখা খুব বেশি দেখা যায় না।
একসময় পুরনো অফিস পাড়াগুলোতে টাইপ রাইটারের টাইপিং এর ঝড় উঠত। সারা দিন খটাখট শব্দ। মফস্বলের পাড়াগুলোতেও ছিল অনেক টাইপ রাইটিং শেখানোর কোচিং। এখন এসব অতীত। কম্পিউটারের দৌলতে টাইপ রাইটার হারিয়ে গিয়েছে। কোর্ট চত্বর কিংবা হাতে গোনা কিছু অফিস ছাড়া এই টাইপ রাইটার আর এর খটাখট শব্দ শোনা বা দেখা যায়না।
মা, ঠাকুরমাদের মশলা বাটার জন্যে শিলনোড়া ছিল একমাত্র উপকরণ। মিক্সারগ্রাইন্ডারের যুগে এই শিলনোড়ার ব্যবহার এখন অতীত প্রায়।
পাড়ার অনুষ্ঠান কিংবা নেমতন্ন বাড়ি ফোল্ডিং লোহার চেয়ার প্রায় সর্বত্র দেখা যেত। এখন এই চেয়ার ব্যবহার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই লোহার চেয়ারের জায়গায় চলে এসেছে প্ল্যাস্টিকের চেয়ার।
এখন সব কম্পিউটার ডেস্কটপই এলইডি অথবা এলসিডি। আগের ডেস্কটপ ছিল টিএফটি মনিটরের, বর্তমানে এসব মনিটর ডেস্কটপ উঠেই গিয়েছে।
একসময় ল্যান্ডফোনের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। মোবাইল ফোন আসার পর থেকে এই ল্যান্ডফোনের গুরত্ব এখন নেই বললেই চলে।
৮এবং ৯’এর দশকের সঙ্গীত অনুরাগীদের কাছে গান শোনার একমাত্র মাধ্যেম ছিল অডিও ক্যাসেট। টেকনোলজির অমূল পরিবর্তনে ক্যাসেটের চাহিদা এখন হারিয়ে গিয়েছে। বাজার দখল করে নিয়েছে অনলাইন মিউজিক।
৯০’এর দশকের বাচ্চাদের টিভি ভিডিও গেমের নেশা ছিল মারাত্মক। প্রত্যেক বাড়িতে ছুটির দিনগুলোতে টিভি ভিডিও গেম খেলা নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। অ্যান্ড্রয়েড আর কম্পিউটারের যুগে এই টিভি ভিডিও গেম এখন আর কেউকে খেলতে দেখা যায়না।
হামানদিস্তা আর ডাল ঘুটুনি গেরস্থের বাড়িতে অতি প্রয়োজনীয় জিনিস গুলোর মধ্যে একটি ছিল। তবে বর্তমান সময়ে এসবের গুরুত্ব হারিয়ে গিয়েছে।
গ্রামোফোন বা কলের গান বেশ কয়েক দশক আগেই মানুষের জীবন থেকে বিদায় নিয়েছে। এখনও কিছু বাড়িতে শো পিস হিসাবে এসব গ্রামোফোন বা কলের গান চোখে পড়ে।
বেসিক ছবি তোলার গুরত্ব লুকিয়ে আছে অ্যানালগ ক্যামেরায়। যদিও, এই অ্যানালগ ক্যামেরার চল এখন উঠেই গেছে ডিএসএলআর ক্যামেরার জন্যে।