নোটবন্দি ঘোষণা হওয়া মাত্র ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন জনতার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তীব্র প্রতিবাদ করে ট্যুইট করেন। তার পর থেকে আজ অবধি সংসদের ভেতরে বাইরে প্রতিবাদের ঝড় অব্যাহত রেখেছে তৃণমূল।
এবার কালো টাকা নিয়ে ফের ব্যাকফুটে মোদী সরকার। ২০১৪ সালে বিজেপির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল ক্ষমতায় এলে বিদেশে গচ্ছিত কালো টাকা দেশে ফেরিয়ে আনা হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল মোদীর শাসনকালেই সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমা রাখা টাকার পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
সুইস ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, তাদের ব্যাঙ্কে ২০১৭ সালে ভারতীয়দের জমা রাখা টাকার পরিমাণ প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭ হাজার কোটি টাকা। যেখানে সসুই ব্যাঙ্কে বিদেশীদের জমা টাকার পরিমাণ বেড়েছে ৩ শাতাংশ।
এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। তৃণমূল নেত্রী ট্যুইট করে বলেছেন, “সাবাস! বিমুদ্রাকরণ? সুইস ব্যাঙ্কে টাকা উড়ছে। ভারত ক্ষতির মুখে পড়ছে।”
প্রথম থেকেই কেন্দ্রের ‘বিমুদ্রাকরণে’র সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোচ্চার তৃণমূল সুপ্রিমো। ২০১৬ সালের ৮ই নভেম্বর সন্ধ্যায় ‘বিমুদ্রাকরণে’র ঘোষণার পরই কটাক্ষ করে মমতা ট্যুইট করে জানান, “পরিকল্পনা ছাড়াই কেন্দ্র ‘বিমুদ্রাকরণ’ নীতির প্রয়োগ করেছে। এর ফলে সম্পূর্ণ বিপর্যয়ের মুখে দেশ। ব্যবসা বানিজ্য প্রায় বন্ধের মুখে। রোগী হাসপাতালে ভর্তি হতে পারচ্ছেন না। কোটি কোটি দেশবাসী কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে সমস্যার মুখে পড়েছেন। ‘বিমুদ্রাকরণে’র ফলে কালো টাকা দেশে ফিরবে না। বদলে তা কালো টাকা দেশ থেকে সরাতে অসাধু ব্যবসায়ীদের সহায়তার করবে।“ সংসদ ও তার বাইরেও সরব ছিল তৃণমূল।
সুইস ব্যাঙ্কের প্রকাশিত সাম্প্রতিক তথ্যের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর সে দিনের ভবিষ্যতবাণীর অনেকটাই মিল রয়েছে। ফলে ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের আগে এই ইস্যু বড় হাতিয়ার হতে চলেছে ঘাস-ফুল তথা বিজেপি বিরোধী শিবিরের কাছে।
২০১৭ সালে নোটবন্দীর বর্ষপূর্তিতে নিজের ট্যুইটারের ডিসপ্লে কালো করে রেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমুদ্রাকরণের বিরুদ্ধে নিরবিচ্ছিন্ন প্রতিবাদ জারি রয়েছে তৃণমূল নেত্রীর।
নোটবন্দির কালো টাকা ফেরানো আর বিজেপির জুমলার বিরুদ্ধে আপোষহীন লড়াইয়ের নামই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।