নবগঠিত পশ্চিমবঙ্গ চলচ্চিত্র একাডেমীর প্রথম বৈঠক হল নন্দনে। ১৩ই জুন প্রথম বৈঠকের দু’দিন পরেই আবার বৈঠক করেন একাডেমী সদস্যরা। এই বৈঠকের মূল এজেন্ডাই ছিল মাল্টিপ্লেক্সগুলিতে বাংলা সিনেমার ভাল স্ক্রীনিং টাইম না পাওয়া।
‘প্রাইম টাইমে’ মাল্টিপ্লেক্সগুলিতে আঞ্চলিক ভাষায় তৈরী সিনেমা স্ক্রীনিং বাধ্যতামূলক করেছে মহারাষ্ট্র। দুপুর ১২টা থেকে রাত সাড়ে ন’টা পর্যন্ত প্রত্যেকটি প্রেক্ষাগৃহে বছরে অন্তত ১১টি আঞ্চলিক ছবি দেখানো বাধ্যতামূলক সেই রাজ্যে। এর ফলে অনেকটাই বল পেয়েছে মরাঠি চলচ্চিত্র শিল্প। স্বল্প-পরিচিত কিংবা অনামী ছবিনির্মাতারা নিজেদের কাজ জনসমক্ষে তুলে ধরতে পারছেন। কম বাজেটে তৈরী অনেক ভাল ছবি তাই উপহার পাচ্ছেন সিনেমাপ্রেমী মানুষরাও।
বাংলা চলচ্চিত্র জগতের সাথে যুক্ত অনেক নির্মাতা, পরিচালকদের অনেক দিনের অভিযোগ এখানে মাল্টিপ্লেক্সগুলিতে বাংলা সিনেমা ভাল স্ক্রীনিং টাইম পায় না। স্বভাবতই নানা সময়ে মহারাষ্ট্রের ধাঁচে বাংলাতেও একটি আইনের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি মরাঠি চলচ্চিত্র নির্মাতা বিজু মানে মনে করেন যে এরকম একটি আইন পাশ হলে লাভ হবে বাংলারই। আঞ্চলিক ছবি বাধ্যতামূলকভাবে মাল্টিপ্লেক্সে দেখানো হলে আখেরে লাভবান হবে এখানকার শিল্পীরাই।
এই ব্যাপারে আশাবাদী প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি যেমন একজন অভিনেতা, তেমনই প্রযোজকও বটে। পরিচালক গৌতম ঘোষ জানান এই ব্যাপারে মাল্টিপ্লেক্স মালিকদের সাথে বৈঠক চলবে। একই দাবি সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘রেইনবো জেলির’ পরিচালক সৌকার্য ঘোষালের। তিনি বলেন, প্রাইম টাইমে বাংলা সিনেমা দেখানোটা বাধ্যতামূলক করা খুবই দরকার। এবং যে সিনেমাগুলি প্রথম সপ্তাহে ভাল ব্যবসা করে, তাদের দ্বিতীয় বা তার পরের সপ্তাহে ভাল স্ক্রীনিং টাইম দেওয়া উচিত।
শুধু বড় প্রযোজনা সংস্থার বিগ-বাজেট সিনেমা নয়। স্বাধীন ছবি নির্মাতাদের স্বার্থও যাতে রক্ষা হয়, সেটাই নিশ্চিত করা এখন চ্যালেঞ্জ একাডেমির।
( মতামত লেখকের ব্যক্তিগত )