দিল্লিতে এসেই জোরকদমে বিরোধী জোটের সলতে পাকানো শুরু করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি হাজির হতেই একের পর এক রাজ্যের বিজেপি বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রীরা এককাট্টা হয়ে গেলেন। দীর্ঘ বৈঠক হল।
নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে রাজধানীতে পা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা আগাম পরিকল্পনা করেই রেখেছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে ফেডারেল কাঠামোয় হস্তক্ষেপ নিয়ে চেপে ধরা হবে। একজোট হয়ে কেন্দ্রকে কোণঠাসা করার ওই প্ল্যানের প্রধান চালিকাশক্তি হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কৌশল নিয়েই একঝাঁক মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা সেরে নিলেন মমতা। সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা হল বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রীদের ওই বৈঠকে ছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী সিপিএমের পিনারাই বিজয়ন। বঙ্গ সিপিএমের পক্ষে যা অত্যন্ত অস্বস্তির বার্তা। অন্ধ্রভবনে আয়োজিত এই বৈঠকে ছিলেন মমতা, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু এবং কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
দিল্লিতে এসেছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। তাঁর সঙ্গেও কথা হয়। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দিল্লিতে পৌঁছেই ফোন করেন মমতা।
কেজরিওয়াল গত পাঁচদিন ধরে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের বাসভবনের ওয়েটিং রুমে বসে আছেন। মমতা ও কুমারস্বামী এরপরই কেজরিওয়ালের সঙ্গে কথা বলেন।
আজ নীতি আয়োগের বৈঠকের আগেই বস্তুত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আঁচ পেয়ে গেলেন বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রীরা একজোট হয়েছেন। আজ যে আঞ্চলিক দলগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা জোটবার্তা দিলেন তাঁদের মিলিত শক্তি কিন্তু যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে আগামী ভোটে।
এসবের ফাঁকেই মমতা এইমসে গিয়ে দেখে এলেন অসুস্থ অটলবিহারী বাজপেয়ীকে। কার্যত দিল্লির নিস্তরঙ্গ রাজনৈতিক আবহে আজ জল্পনার উত্তাপ ছড়িয়ে দিলেন মমতা।
আবারও প্রমান হয়ে গেল যে দেশের বিজেপি বিরোধী রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু তিনিই। বিরোধী জোটের মধ্যমণি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।