জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করলো শক্তিধর ফ্রান্স। কাজানে অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। গোলদাতা গ্রীজম্যান ও পল পোগবা। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে গোল করেছেন জেডিনাক। গ্রুপ ‘সি’তে অপর দুটি দল হলো পেরু ও ডেনমার্ক।
কাগজে কলমে এবং অভিজ্ঞতায় ফ্রান্স অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে। তবে অস্ট্রেলিয়ানরা যে সহজে ছাড় দেবে না সেটা বুঝিয়ে দিয়েছিল প্রথম থেকেই। বল বেশিরভাগ সময়ে ফ্রান্সের দখলে থাকলেও রক্ষণাত্মক খেলার পাশাপাশি সুযোগ বুঝে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করেছে অস্ট্রেলিয়া।
প্রথমার্ধে গোটা তিনেক আক্রমণ শানায় ফ্রান্স। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি। এ সময় অস্ট্রেলিয়ার আক্রমণ বলতে একটিই। তবে সে আক্রমণ থেকে কাজের কাজ কিছু হয়নি। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় গোলশূণ্য সমতায়।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা বেশ জমে ওঠে। গোলের জন্য মরিয়া হয়ে দুই দলই। ৫৮তম মিনিটে পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। গ্রীজম্যানকে ডি বক্সের মধ্যে ফাউল করে অস্ট্রেলিয়ার রিসডন। হলুদ কার্ড দেখানো হয় তাকে। পেনাল্টি শট নেন গ্রীজম্যান নিজেই। এবং বল জালে জড়ান আস্থার সঙ্গে।
ফ্রান্সের আনন্দ মাটি হতে অবশ্য বেশি সময় লাগেনি। ৪ মিনিট পর সেই পেনাল্টি গোলেই সমতা ফেরায় অস্ট্রেলিয়া। ডি বক্সের মধ্যে বল লেগে যায় ফ্রান্সের স্যামুয়েলস উমতিতির হাতে। আস্থার সঙ্গে ডান পায়ের শটে গোল করেন মাইল জেডিনাক।
৮০তম মিনিটে লিড নেয় ফ্রান্স। গোলদাতা পল পোগবা। অলিভার জিরাউডের কাছ থেকে বল পেয়ে ডান পায়ে চমৎকার শটে দলকে স্বস্তির এনে দেন এ তরুণ তারকা। বাকি সময়ে গোল না হলে ২-১ গোলের স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স।
১৫তম বারের মতো ফিফা বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে ফ্রান্স। বিশ্বকাপে তারা এখন পর্যন্ত দুইবার ফাইনাল খেলে একবার শিরোপা জিতেছে ও একবার রানার আপ হয়েছে। ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দলটি। আর ২০০৬ সালে রানার আপ হয়েছিল ফরাসিরা।
অন্যদিকে, এবার পঞ্চমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। দলটি প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলেছিল ১৯৭৪ সালে। এরপর ২০০৬, ২০১০ ও ২০১৪ সালে বিশ্বকাপে খেলে তারা। চারবারের মধ্যে তিনবারই গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। ২০০৬ সালে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলেছিল দলটি।ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ফ্রান্স এখন সপ্তম অবস্থানে রয়েছে। আর অস্ট্রেলিয়া রয়েছে ৩৬তম অবস্থানে।