ছবি বিশ্বাস তখন খ্যাতির মধ্যগগনে। এক শীতের রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। বাঁশদ্রোণীতে বাড়ির সামনে পৌঁছে দেখলেন ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে পাহারা দিচ্ছেন এক কনস্টেবল। তাঁকে দেখে ছবি বিশ্বাস বলে ওঠেন, “ইস তোমার কী কষ্ট। যাও তুমি আমার বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়। আমি তোমার হয়ে পাহারা দিচ্ছি।” তাঁর এহেন আবদারে মহা ফাঁপড়ে পড়েছিলেন ওই কনস্টেবল। পরে যদিও ছবি বিশ্বাসের স্ত্রীর হস্তক্ষেপে বিষয়টি মেটে। যে যার নিজের জায়গায় ফিরে যান।
ছবি বিশ্বাসকে ঘিরে রয়েছে এমন অজস্র কথা। শুধু অভিনয় নয়, সেইসঙ্গে অনেক বড় মনের মানুষ ছিলেন তিনি। আজ তাঁর প্রয়াণ দিবসে রইল তাঁর সম্পর্কে এমনই কিছু অজানা তথ্য
রাজা শশাঙ্ক দেবের উত্তর পুরুষ শচীন্দ্রনাথ দে বিশ্বাস কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন ১৯০২ সালের ১৩ জুলাই। কাত্যায়নীদেবী ও ভূপতিনাথের এই পুত্র সন্তানটিকে সুন্দর দেখতে ছিল বলে মা তাঁকে ‘ছবি’ বলে ডাকতেন। আর সেই ছবি নামটিই চলচ্চিত্র জগতে পরে সুপরিচিত হয়ে উঠেছিল।
ছোটোবেলা থেকে অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল তাঁর। বাড়ির হলঘরে পর্দা টাঙিয়ে চলত অভিনয়।
অভিনয়ে আসার আগে যাত্রা করতেন ছবি বিশ্বাস। ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউটে শিশির ভাদুড়ির অভিনয় দেখে অভিনয়কে পেশা হিসেবে বাছার সিদ্ধান্ত নেন। শ্রী রঙ্গম মঞ্চে শিশির ভাদুড়ির নাটক যখন তেমন চলছিল না, সে সময় বিনা পারিশ্রমিকে শ্রী রঙ্গম মঞ্চে অভিনয় করতে এগিয়ে এসেছিলেন তিনি।
কালী ফিল্মসের প্রতিষ্ঠাতা পি এন গঙ্গোপাধ্যায় ছবি বিশ্বাসকে অভিনয় জগতে প্রথম সুযোগ দেন। ১৯৩৬ সালে অন্নপূর্ণার মন্দির ছবির হাত ধরেই বড়পর্দায় প্রথম অভিনয় তাঁর।
দীর্ঘ অভিনয় জীবনে ছবি বিশ্বাস কাজ করেছেন একাধিক ছবিতে। তার মধ্যে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কাজ করেছেন “জলসাঘর”, “কাঞ্চনজঙ্ঘা” ও “দেবী” ছবিতে। তাঁর অভিনয় যে ছবির মান বহুগুণ বাড়িয়ে তুলত তা বহুবার স্বীকার করেছেন খোদ সত্যজিৎ রায়।
বলিউডে অভিনয়ের একাধিক প্রস্তাব পেলেও বারবার তা ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।
রাজ কাপুর “একদিন রাত্রে” সিনেমার শুটিংয়ের জন্য ছবি বিশ্বাসকে মুম্বই নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, তিনি রাজি হননি। এরপর কলকাতায় পুরো ইউনিট এনে ছবি বিশ্বাসের অংশটুকু শুটিং করে নিয়ে যান রাজ কাপুর।
‘ছবি’র দশ মাস বয়সে মা কাত্যায়নীর মৃত্যু হয়। অসময়ে মা চলে যাওয়ায় মেজ জ্যাঠাইমার কাছে মানুষ হয়েছেন তিনি। নয়ানচাঁদ স্ট্রিটের একটি কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষাজীবন শুরু। পরে ক্ষুদিরাম বসু লেনের সেন্ট্রাল কলেজিয়েট স্কুলে পঞ্চমশ্রেণি পর্যন্ত পড়ে হিন্দু স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন ছবি বিশ্বাস। তবে বন্ধুদের সঙ্গলাভের আশায় প্রেসিডেন্সি ছেড়ে পরে বিদ্যাসাগর কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন।
গোপীমোহন লেনের বাসিন্দা শচীন্দ্রনাথ বসুর কন্যা নীহারবালাদেবী ওরফে সমীরাদেবীর সঙ্গে ছবি বিশ্বাসের বিয়ে হয়। তাঁদের দুই পুত্র— মলয় ও দিলীপ এবং একটিই কন্যা, মঞ্জুলা।
মদন মিত্র লেনে নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্রের বাড়ির বৈঠকখানায় ছিল ‘বারবেলা বৈঠক ক্লাব’। এখানে হত সখের অভিনয়। সম্ভবত এই ক্লাবে যোগদানের মাধ্যমেই ছবি বিশ্বাসের অভিনয় জীবনের হাতেখড়ি। ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউ হলে নানা সুধীজন আসতেন। সেখানেই ছবি বিশ্বাস পরিচিত হলেন শিশিরকুমার ভাদুড়ির সঙ্গে। নিয়মিত না শিখলেও নিজেকে মনে করতেন শিশিরকুমারের শিষ্য। এই ভালবাসা থেকেই জড়িয়ে পড়লেন ললিতচন্দ্র বসু পরিচালিত শিকদারবাগান বান্ধব সমাজের সঙ্গে। বান্ধবসমাজের ‘নদীয়া বিনোদ’ কীর্তনাভিনয় প্রথম অনুষ্ঠিত হয় ১৯৩৩-এর ২৬ ফেব্রুয়ারি। সেখানে ছবি বিশ্বাস নিমাই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। মোট ১৭৫ রজনী অভিনীত হয় ‘নদীয়া বিনোদ’। পরে তিনি যুক্ত হয়েছিলেন রমেশচন্দ্র দত্তের সহযোগিতায় গঠিত কাঁকুড়গাছি নাট্য সমাজ ও হাওড়া নাট্য সমাজের সঙ্গে। ছোট জাগুলিয়ার ‘বান্ধব সমিতি’ ছবি বিশ্বাসের পৈতৃক বাড়ির সামনে ম্যারাপ বেঁধে মঞ্চস্থ করল ‘বিল্বমঙ্গল’ নাটক। সে নাটকে ছবি ‘চিন্তামণি’র ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। শৈশবে কিছু দিন সঙ্গীতচর্চা করেছিলেন তিনি। জমিরুদ্দীন খান সাহেবের কাছে নাড়াও বেঁধেছিলেন।
নাট্য পরিচালক সতু সেন ছবিবাবুকে মিনার্ভা থিয়েটারে ডেকে পাঠালেন। কিছু দিনের মধ্যে নাট্য নিকেতন মঞ্চে জ্যোতি বাচস্পতি রচিত ‘সমাজ’ নাটকে পেশাদার শিল্পী হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ। সালটা ছিল ১৯৩৮। নাট্যকার মন্মথ রায়ের ‘মীরকাশেম’ ওই বছরেরই ১৭ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হয়। তার পর ‘পথের দাবী’, ‘পরিণীতা’ ও ‘ভারতবর্ষ’ করে নাট্যমন্দির ছেড়ে নাট্য ভারতীতে চলে এলেন ছবিবাবু। মঞ্চায়িত হল তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দুই পুরুষ’। নুটুবিহারীর চরিত্রে অসামান্য অভিনয় করলেন ছবি বিশ্বাস। এটি পরে চিত্রায়িতও হয়েছিল। ‘দেবদাস’, ‘ধাত্রীপান্না’, ‘কাশীনাথ’, ‘চাঁদ সদাগর’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘গৈরিক পতাকা’, ‘বিজয়া’, ‘পরমারাধ্য শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ’, ‘কাবুলিওয়ালা’, ‘ডাকবাংলো’-সহ ৩৯টি নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি। অভিনয় করেছেন মিনার্ভা, স্টার, শ্রীরঙ্গম ও সুন্দরম-এ। ‘স্বামী’ নাটকটি সুন্দরমকে প্রতিষ্ঠা দিয়েছিল আর সে সঙ্গেই নাট্যশিক্ষক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন ছবি বিশ্বাস। এমন নাট্যশিক্ষক, যিনি বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন নাটকে প্রম্পটারের কোনও স্থান নেই।
ছবি বিশ্বাস খুব ভাল আবৃত্তিকারও ছিলেন। রেডিওতে তিনি আবৃত্তির অনুষ্ঠান করতেন সে আমলে। বেতারে তাঁর নাটক সম্প্রচারিত হত— চাণক্য, চন্দ্রগুপ্ত।
সে কালের বিখ্যাত পরিবেশক রিতেন অ্যান্ড কোম্পানির খগেন্দ্রলাল চট্টোপাধ্যায় ছবি বিশ্বাসকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেতা ও পরিচালক তিনকড়ি চক্রবর্তীর সঙ্গে। ১৯৩৫ সালের শেষ দিকে নিরুপমাদেবীর লেখা ‘অন্নপূর্ণার মন্দির’ নিয়ে ছবি করার জন্য তিনি নায়কের মুখ খুঁজছিলেন। লম্বা, সুদর্শন ছবি বিশ্বাস চলচ্চিত্র জগতে প্রথম পা রাখলেন ১৯৩৬-এ বিশু চরিত্রে।
‘নদের নিমাই’, ‘হাত বাড়ালেই বন্ধু’, ‘সখের চোর’, ‘শিউলিবাড়ি’, ‘রাজা সাজা’, ‘আম্রপালী’, ‘বিচারক’, ‘সপ্তপদী’, ‘নীলাচলে মহাপ্রভু’-সহ প্রায় ২৫৬টি বাংলা চলচ্চিত্র ও তিনটি হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’, ‘জলসাঘর’ ও ‘দেবী’— সত্যজিৎ রায়ের এই তিনটি ছবিতে অভিনয় করেছেন ছবি বিশ্বাস। ‘জলসাঘর’-এর জন্য ৫৫ বছরের প্রৌঢ়কে ঘোড়ায় চড়া রপ্ত করতে দিন সাতেক রাইডিং স্কুলে এক ঘণ্টা করে যেতে হয়েছিল। নিখুঁত অভিনেতা ছিলেন বলেই তা রপ্ত করতে পেরেছিলেন ছবিবাবু। ‘দেবী’ ছবির শ্যুটিঙে বেশি আঠা দিয়ে কিছুতেই গোঁফ লাগাতে চাননি তিনি।
তাঁর স্কিন বড় ডেলিকেট যে! শোনা যায়, বেশি সাঁটাসাঁটি করলে ঠিক অভিনয়টি হবে না— এমন মন্তব্যও করতে ছাড়েননি স্পষ্টভাষী ছবিবাবু। আর ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয় মূর্তিমান কাঞ্চনজঙ্ঘার মতোই যে শেষ দিনটি পর্যন্ত অবিচল রইল, সে কথা বাঙালি মাত্রেই জানে!
শেষের দিকে তাঁর পারিশ্রমিক ছিল দিনে এক হাজার টাকা। তবে অনেক প্রযোজক ও পরিচালকের অনুরোধে তিনি দিনে ২৫০ টাকাতে কাজ করেছেন, এমন উদাহরণও আছে। অনেক ছবিতে তাঁর অভিনয় নায়ক-নায়িকাকেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল। হাঁপানিকে অদ্ভুত ভাবে কাজে লাগিয়ে তিনি অসামান্য এক বাচনভঙ্গি তৈরি করেছিলেন। চলচ্চিত্র মাধ্যমে পোশাকে-চলনে-বলনে একটা পরিবর্তন এনেছিলেন ছবিবাবু। রহমতের আলখাল্লা থেকে বিশ্বম্ভরের বেনিয়ান, সাহেবি হ্যাট-কোট-স্যুট বা জরির জোব্বা— সবই যেন তাঁর শরীরে অন্য মাত্রা পেত। উত্তমকুমারের ধাক্কাপাড় ধুতির ডিজাইন নিজেই কারিগরকে দিয়ে করিয়েছিলেন ছবি বিশ্বাস। উত্তমের গ্ল্যামারের সঙ্গে মানানসই সেই ধুতি পরে ‘উত্তমকুমারের ধুতি’ নামে পরিচিত হয়েছিল।
‘প্রতিকার’ ও ‘যার যেথা ঘর’ নামের দু’টি ছবি পরিচালনা করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া দু’টি ছবিতে নির্বাক অভিনয় করেন ছবিবাবু। তিনটি ছবিতে গানে লিপ দিয়েছেন তিনি— ‘প্রতিকার’, ‘একদিন রাত্রে’ ও ‘দাদাঠাকুর’-এ।
১৯৩৬ থেকে ৪১ সাল পর্যন্ত টানা নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে হঠাত্ই ‘নর্তকী’ ছবির রোম্যান্টিক চরিত্র ছেড়ে তিনি স্বামীজীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন। সে ছবি মুক্তি পাওয়ার পর ঘোষণা করলেন— এ বার থেকে তিনি চরিত্রাভিনেতা। এ কথা শুনে উত্তমকুমার বলেছিলেন এমন সিদ্ধান্ত শুধু ওই অভিনেতার পক্ষেই নেওয়া সম্ভব। চলচ্চিত্রে অভিনয়ে একটা থিয়েটারি ঢঙ ছিল। প্রথমে সেটি ভাঙেন প্রমথেশ বড়ুয়া। পরে যিনি অভিনয় শিল্পকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছিলেন অতীতের তাঁরায় সেই ‘ব্লু-ব্লাডেড অভিনেতা’ ছবি বিশ্বাস।
গিরিশ-যুগের অভিনয়ের ধারাটি শিশির ভাদুড়ি বা অহীন্দ্র চৌধুরী সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। একই মঞ্চে, একই ধারায় তাঁদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন ছবি বিশ্বাস। কিন্তু সর্বত্রই বজায় ছিল তাঁর স্বকীয়তা। মন্মথ রায়ের ‘মীরকাশিম’ নাটকে ছবি বিশ্বাস নাম ভূমিকায় অভিনয় করে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিলেন। এ তো গেল মঞ্চের কথা। চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয় প্রসঙ্গে স্বয়ং সত্যজিৎ রায় বলেছিলেন, “ছবিবাবু না থাকলে ‘জলসাঘর’-এর মতো চিত্ররূপ দেওয়া সম্ভব হত কিনা জানি না। বোধ হয় না। এক দিকে বিশ্বম্ভর রায়ের দম্ভ ও অবিমৃষ্যকারিতা, অন্য দিকে তাঁর পুত্রবাৎসল্য ও সঙ্গীতপ্রিয়তা এবং সব শেষে তাঁর পতনের ট্র্যাজেডি— একাধারে সবগুলির অভিব্যক্তি একমাত্র তাঁর পক্ষেই সম্ভব ছিল।”
ছোট জাগুলিয়ায় সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য ছবি বিশ্বাস প্রায় ১০ বিঘা জমি দান করেছিলেন। ১৯৪২-৪৩ সালের দুর্ভিক্ষের সময় জাগুলিয়া গ্রামের ঘরে ঘরে চাল-ডাল-জামা-কাপড় পৌঁছে গিয়েছিল তাঁরই বদান্যতায়।
১৯৫৯ সালে বসুশ্রীর একটি ঘরে ‘অভিনেতৃ সঙ্ঘ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। সঙ্ঘের সভাপতি অহীন্দ্র চৌধুরী আর সহ-সভাপতি ছিলেন ছবি বিশ্বাস। তিনি মনে করতেন অভিনয় শিল্পে কলাকুশলীদের ভূমিকাই মুখ্য। নিজে অভিনেতা হয়েও মনে করতেন সিনেমার আয়ের অংশ কলাকুশলীদের মধ্যে আগে ভাগ করে দেওয়া উচিত, অভিনেতারা নেবেন সকলের শেষে। যে কোনও আন্দোলনে তিনি থাকতেন সকলের আগে।
‘প্রতিশ্রুতি’ ও ‘দিকশূল’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য পেয়েছিলেন বিএফজেএ পুরস্কার। বার্লিন ও জাকার্তা চলচ্চিত্র উৎসবেও গিয়েছিলেন ছবি বিশ্বাস। সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি অভিজ্ঞান ও রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শিল্পী ১৯৬২ সালের ১১ জুন জাগুলিয়া যাওয়ার পথে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান। তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের অনুরোধে ছবি বিশ্বাসের দেহ ময়নাতদন্ত হয়নি। তিনি বলেছিলেন, সবাই জানে এটা দুর্ঘটনা। আর শিল্পীর দেহে কাটাছেঁড়া চলে না।
ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মৃত্যুর পর মন্তব্য করেছিলেন, ছবিদা চলে গেলেন। এ বার থেকে ব্যারিস্টারের চরিত্রগুলো কেটে মোক্তারের চরিত্র করতে হবে।