চুমুক নয়, এবার কামড়ও দেবেন গ্রিন-টি তে। অবাক চোখে তাকাবেন না। এমনটাই হচ্ছে এখন। নিজেকে আপডেট করে নিন।
গ্রিন টি অনেকদিন ধরে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের পছন্দের পানীয়। এর উপকারিতা নিয়ে বেশি কথা নিষ্প্রয়োজন। সবাই জানেন। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না ম্যাচা গ্রিন টি-র কথা। একটু চোখ কান খোলা রাখলেই বুঝতে পারবেন, ম্যাচা গ্রিন টি এখন খাওয়া দাওয়ার দুনিয়ায় রীতিমত ট্রেন্ডিং। শুধু স্বাস্থ্য সচেতন মানুষই নন, ভোজন রসিক মানুষও বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
কেন হঠাৎ ম্যাচা নিয়ে এমন মাতামাতি? আমাদের জটায়ুর ভাষায় একটু কাল্টিভেট করে দেখতে হয় বইকি।
ম্যাচা গ্রিন টি আসলে কি? খুব সহজ ভাবে বুঝতে হলে বলতে হয়- বিশেষ গ্রিন টি’র পাতা বিশেষ ভাবে প্রসেস করে একদম মিহি করে গুঁড়ো করে যে বস্তুটি দাঁড়াবে তাই হলো ম্যাচা গ্রিন টি। স্বাভাবিক ভাবেই সাধারণ গ্রিন টি-র ফ্লেভারের সঙ্গে ফারাক আছে। সাধারণ ভাবে ম্যাচা উচ্চমানের গ্রিন টি-র পাতা থেকেই তৈরি হয়।
গুগল ঘেঁটে দেখবেন এর উপকারিতার তালিকাও বেশ লম্বা। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আছে। তাছাড়া ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবারে সমৃদ্ধ এই বিশেষ গ্রিন টি। মেটাবলিজম বাড়াতে এবং ক্যালরি বার্ন করতে সাহায্য করে।সাহায্য করে ব্লাড প্রেশার ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে। রোগ প্রতিরোধক। শরীর ও মন শান্ত করতেও এই পানীয় সেবনের নিদান দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
হালে ম্যাচা নিয়ে অনেক কথা উঠলেও এর জন্ম কিন্তু চীন দেশে। তবে জাপানে বহু দিন ধরেই এই বিশেষ গ্রিন টি জনপ্রিয়। জাপানে তো চা পান করা রীতিমত রিচুয়াল। সে দেশের নানা টি-সেরিমনিতে ম্যাচা গ্রিন টি পরিবেশন করা হবেই। কারণ এই চা শরীর ও মনকে শান্ত করে। মনঃসংযোগে সাহায্য করে বলে এই চা-কে মেডিটেশন টি-ও বলে।
তবে এই মুহূর্তে এই বিশেষ গ্রিন টি’র ব্যবহার শুধুমাত্র পানীয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। বিভিন্ন ক্যাফে এবং রেস্তোরাঁতে এখন ডেসার্ট তৈরিতে উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এই ম্যাচা গ্রিন টি। আইসক্রিম, কাপ কেক, পেস্ট্রি, চিজ কেক, স্মুদি- সর্বত্রই ম্যাচার সবুজ উপস্থিতি। এমনকি তৈরি হচ্ছে লোভনীয় পপসিকেলও। শুধু তাই নয় পাস্তা নুডলস প্রভৃতি বানাতেও ম্যাচা ব্যবহার করা হচ্ছে। ভোজনবিলাসী মানুষও খাদ্যের এই সবুজায়নকে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন।
ইনস্টাগ্রামে হ্যাশট্যাগ দিয়ে ম্যাচা লিখে সার্চ করুন। দেখুন তাক লাগানো সব খাবারের ছবি। আসলে যত দিন যাচ্ছে, খাবারের দুনিয়ায় ধীরে ধীরে জায়গা করে নিচ্ছে ভেগান খাবার দাবার। চলছে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ভেগান ফুড হ্যাবিট সম্পর্কে মানুষকে আরও সচেতন করে তোলার নানা প্রচেষ্টা সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখা যাচ্ছে। তার কারণেই ম্যাচা এখন ট্রেন্ডিং।
এবার একটু রসভঙ্গ করতে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন আপনি কেমন ভাবে ম্যাচা সেবন করছেন তার উপরেই নির্ভর করছে এর উপকারিতা। চা হিসেবে পান করলে যে উপকারিতা পাবেন, ম্যাচা-র চকোলেটে সেই একই উপকার মোটেই আশা করবেন না। তবে এই সব কথা বলে ভোজন রসিককে কে কবে দমাতে পেরেছে! তাই খাবারের দুনিয়ার এই নিজস্ব সবুজায়ন চলছে চলবে।